মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তুলে নেয়া চবি ছাত্রের ভাইয়ের আকুতি

‘ভাইকে ফিরে না পেলে আমার মা বাঁচবে না’

প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ভাইকে ফিরে না পেলে আমার মা আর বাঁচবে না। অবিলম্বে ভাইকে ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানিয়ে আব্বাস উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও আইনি সহায়তাদানকারী সংস্থাগুলোর কাছে আবেদন করছি আমার ভাইকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন। নয়তো আমার মা আর বাঁচবেন না। না খেয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন মৃত্যুশয্যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এলএলবির ছাত্র মো. নেজাম উদ্দিনকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে গতকাল (বুধবার) পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ আবেদন জানান তার ছোট ভাই আব্বাস উদ্দিন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাবা আহমদ কবির, চাচা নবী ইসলাম, চাচাত ভাই শাহাবুদ্দিন, প্রতিবেশী সালাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাতকানিয়া থানার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জাখিলের আব্বাস উদ্দিন জানান, নগরীর বাকলিয়া থানার বড় মিয়া মসজিদের নিচতলা মার্কেটে পড়াশোনার পাশাপাশি দোকান করতেন নেজাম উদ্দিন। তিনি চবি থেকে এলএলবি পরীক্ষা দিয়েছেন কিছুদিন আগে। ইতিমধ্যে এলএলএমে ভর্তির আবেদনপত্রও জমা দিয়েছেন। রোববার আমি ওয়াশরুমে যাই। এ সময় ভাই শুয়ে ছিলেন। ওয়াশরুম থেকে ফিরে দেখি ভাইকে ৮-৯ জন লোক পিছমোড়া করে হাতে হাতকড়া পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। আমি জিজ্ঞেস করি, কী সমস্যা? ভাইকে নিয়ে যাচ্ছেন কেন? তারা অস্ত্র তাক করে বলেন, এই চুপ, কোনো কথা বলবি না। পরে ভাইয়ের নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলে তারা বাসা থেকে ভাইকে নামিয়ে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায়।
আব্বাস উদ্দিন বলেন, এরপর বাকলিয়া থানা, র‌্যাব, জেলা পুলিশ ও ডিবি কার্যালয়ে যাই। কেউ সন্ধান দেননি। কোথাও খুঁজে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে লালদীঘির পাড় সিএমপি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে উঠি। ওখানে জিজ্ঞেস করতেই এক লোক আমাকে বলেন দাড়িওয়ালা নাকি। আমি হ্যাঁ বলতেই উনি দোতলা ভবনের কর্নারের একটি কক্ষ দেখিয়ে বলেন, ওখানে আছে। আমি সেখানে যাচ্ছিলাম, এমন সময় অপর একজন বলেন, এই এ এখানে কীভাবে এসেছে? সেন্ট্রি হাঁকডাক দিতেই আমি ভয়ে নিচে নেমে আসি। এরপর পুলিশ, ডিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছি। কোনো সংস্থা আমাদের কথা শুনতে চায়নি।
আব্বাস দাবি করেন, তার ভাই কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিলেন না। রাজনীতি করাটাও পছন্দ করতেন না। কোনো দলবাজিতে ছিলেন না। মামলা দূরের কথা তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পর্যন্ত নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন