চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে যুমনা অয়েল এজেন্সির গোডাউনে তেলের ট্যাংকার থেকে আগুন লেগে ৭ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আগুনে পুড়েছে ৩তলা ভবনের একাংশ।
গতরাত প্রায় ১ টার দিকে একটি জ্বালানি তেলের ট্যাংকার থেকে ওই তেলের গোডাউনে ড্রামে তেল অপসারণ করতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো ট্যাংকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং ওই গোডাউনে বিক্রির জন্য থাকা গ্যাস্ট সিলিন্ডারগুলো বিকট শব্দে ওপরের দিকে ওঠে।
স্থানীয়রা জানায়, খবর শুনে চাঁদপুর উত্তর ফায়ার স্টেশনের ৪টি ইউনিট তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করে। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মডেল থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনতা সহায়তা করেন।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কমান্ডার ফারুক জানান, তাদের ৪টি ইউনিটের সদস্যরা রাত ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময় যমুনা অয়েল এজেন্সির মালিক মিজানুর রহমানসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ওই ভবনে থাকা বাকি লোকদের উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধরা হচ্ছেন: নুরু মোহাম্মদ (২১), রায়হান (২৩), মিজানুর রহমান (৫০), বাদশা মিয়া (৫০), মাসুদ হোসেন (২৮) ও বেলাল হোসেন (৩৫)।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. বেলাল হোসেন বলেন, অগ্নিদগ্ধ ছয়জনকেই ঢাকা রেফার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনের ৮০% থেকে ৯০% এবং দুইজন ৫০% থেকে ৬০% পুড়েছে। এছাড়া আহত ফায়ার সার্ভিস কর্মী খোকন মজুমদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চাঁদপুর উত্তর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক রতন দত্ত বলেন, আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। তবে ওই গোডাউনে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, গ্যাস সিলিন্ডার ও কেরোসিন ছিলো। এছাড়াও যে ট্যাংকারটি তেল নামাচ্ছিল, সেটিতেও তেল ছিলো। ট্যাংকারটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং ৩ তলা ভবনের অনেকাংশ পুড়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হাই, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শাহাদাৎ হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালি উল্লাহ অলির নেতৃত্বে পর্যাপ্ত পুলিশ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করছেন।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রশাসনের সবাই ছুটে আসে। আমি বাখরাবাদে ফোন করে চাঁদপুরের গ্যাসের লাইন বন্ধ করি যেন বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন