ভোলার মনপুরা উপজেলার সাগর মোহনার দক্ষিণ সাকুচিয়া সংলগ্ন ভাটি মেঘনায় ২০ কেজি ওজনের দুটি কোরাল মাছ ধরা পড়ায় স্থাণীয় মৎস্য আড়তে ৪০ হাজার টাকায় পাইকারী বিক্রী হয়েছে। স্থানীয় সাইফুল মাঝির জালে কিছুটা অসময়ে ২০ ওজনের ঐ দুটি মাছ ছাড়াও ৬ কেজি ওজনের আরো ৪টি কোরাল ধরা পরে। এসব মাছ স্থানীয় নিজাম হাওলাদারের আড়তে বিক্রীর জন্য আনা হলে তা দেখতে স্থানীয় বিপুল সংখ্যক মানুষ জমায়েত হন। নিজাম হাওলাদার ডাক তুলে ১ হাজার টাকা কেজি দরে এসব মাছ কিনে শুক্রবার সন্ধায় লঞ্চযোগে তা ঢাকার কাওরান বাজারে পাঠিয়েছেন। শণিবার সকালে ঢাকায় পৌছার পরে কাওরান বাজারের পাইকারী আড়তে বিক্রী হবার কথা।
সাম্প্রতিককালে দক্ষিণাঞ্চলে মেঘনা, তেতুলিয়া, আন্ধারমানিক ও আড়িয়াল খাঁ সহ বিভিন্ন নদ-নগদীতে ৬টি অভয়াশ্রম সহ ইলিশ আহরনে ২৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় উপক’লের মূল প্রজনন ক্ষেত্রের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মৎস্য আহরন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছে উৎপাদনও বাড়ছে। দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বিচরনও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি ছোট ও মাঝারী সহ সব ধরনের মাছের বিচরন অনেকটাই নির্বিঘœ হওয়ায় তার প্রাপ্যতাও সহজতর হয়েছে বলে মনে করছেন মৎস্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল মহল।
গত এক যুগে দক্ষিণাঞ্চলে মাছের উৎপাদন প্রায় ৭৫% বৃদ্ধির ফলে এ অঞ্চলে চাহিদা ৩ লাখ ১০ হাজার টনের বিপরিতে উদ্বৃত্ত থাকছে প্রায় ২.৯০ লাখ টন। এমনকি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মাছের উৎপাদন ৫ লাখ ৬৫ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে। গত অর্থ বছরে তা প্রায় ৬ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে বলে মৎস্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূূত্রে জানা গেছে। এমনকি গত অর্থ বছরে দেশে উৎপাদিত ৫ লাখ ৩৫ হাজার টন ইলিশের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের অবদান ছিল প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টন। গত দুই দশকে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে চলতি অর্থ বছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন ৫.৪০ লাখ টনে উন্নীতহবার পরে আগামী অর্থবছরে তা সাড়ে ৫ লাখ টনে উন্নীত হবার সম্ভবনার কথা জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন