রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বিএনপি জামাতের সময় রেলকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন রেলওয়ের ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে। রেলওয়েকে ধ্বংসের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। গতকাল সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশন উঁচুকরণ ও প্লাটফর্ম বর্ধিতকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলের দ্রুতগতি নিশ্চিত করতে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় রেলসেতু নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই সেতু দিয়ে মিটার গেইজ ও ব্রডগেইজ দুই ধরনের ট্রেন একই সাথে আসা যাওয়া করবে ১২০ কিলোমিটার বেগে, যা এখন মাত্র সর্বোচ্চ ২০ কি.মি. বেগে শুধু যেতে বা আসতে পারে। ২০২৪ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় সেতুসহ পুরো উত্তরবঙ্গে ডাবল লাইন চালু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি ঘোষণা করেন, রেলের এই উন্নয়নের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও থেকে বগুড়া হয়ে ঢাকা যাওয়া যাবে মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘণ্টায়। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) মিহির কান্তি গুহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সচিব সেলিম রেজা, মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কুরাইশী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অরুনাংশু দত্ত টিটো, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যাসহ স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনায় রেল ব্যবস্থা আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে বলেন, ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় হয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই পথে বাংলাদেশ থেকে ট্রেন ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনে গিয়ে সরাসরি পৌঁছাবে।
এছাড়াও রেল যোগাযোগে বিপ্লব আনবে কক্সবাজারের সাথে সারা দেশের নিরবিচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগের মাধ্যমে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি পদ্মাসেতুর রেল সংযোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, রেলের গতি ও সারাদেশের এমনকি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে রেল যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন