আন্দোলনকারীদের অন্যতম একজন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের ছাত্রী সামিয়া হাসান বলেন, `যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা বিষয়টি ভালভাবে বুঝাতে পারেনি। যার কারণে সমস্যা হয়েছে। আমরা আন্দোলন স্থগিত করিনাই। শুধুমাত্র আজ দুপুরের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী স্থগিত করেছি। এছাড়া কোন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয় নি।’
সামিয়া আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছিলো,আছে এবং থাকবে। এটি সাধারণত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এটি কোন বাম বা ক্ষমতাসীন দলের অংশ নয় এবং হতে পারবে না।’
এদিকে ছাত্রলীগের হল ছাড়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে সামিয়া বলেন, ‘এটা তাদের দলীয় বিষয়। তারা হল ছাড়তে পারে। তবে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার জন্য হলে ওঠেছি। হলেই থাকবো। ’
এর আগে দুপুর পৌনে ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বরে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নুশিন আদিবা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছে। এ কারণে আন্দোলনের সকল কর্মসূচি স্থগিত করছি। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা হলে থাকব’।
তবে হল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে চাপ প্রয়োগ করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুনরায় আন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা
এই ঘোষণার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিশাল একটি অংশ বিরোধীতা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন