শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

স্ট্যান্ডিং কমিটির বর্ষপূর্তিতে সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রামকে শিক্ষাবান্ধব নগরী করার কাজ চলছে

প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম মহানগরীকে শিক্ষাবান্ধব নগরীতে পরিণত করতে কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। চসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য রক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) কর্পোরেশনের কে বি আবদুছ ছত্তার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক।
এ সময় চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, কমিটির সদস্য কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, সৈয়দা মিসেস কাশপিয়া নাহরিন, মিসেস ফারহানা জাবেদ ছাড়াও কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ বাচ্চু, ইসমাইল বালী, মিসেস আঞ্জুমান আরা বেগম, লুৎফুর নেছা দোভাষ বেবী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চসিক ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২১টি কলেজ, ১টি বিশ^বিদ্যালয়, একটি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ইনস্টিটিউট, ৬টি কম্পিউটার ক্যাম্পাস, একটি সংগীত একাডেমি, ৬টি কিন্ডার গার্টেন, ১টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫০টি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, ৬টি মসজিদ, ৪টি টোল স্কুল, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১টি, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র ৪টি, থিয়েটার ইনস্টিটিউট ১টি ও সিটি কর্পোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি ১টি  পরিচালনা করে আসছে।
বিদ্যোৎসাহী ও শিক্ষানুরাগী মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই নগরীর প্রান্তিক জনপদ ১নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী ফতেয়াবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণি চালু করে বিদ্যালয়টিকে কলেজে উন্নীত করেন। এরপর চলতি বছরে পাথরঘাটা মহিলা কলেজ ও নগরীর ঐতিহ্যবাহী মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজকে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। মাত্র এক বছরের মধ্যে বৃহৎ এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে অধিগ্রহণ করে মেয়র নগরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি কলেজ ও বিদ্যালয়কে সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনায় আনার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কমিটি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন, সামাজিক মূল্যবোধ এবং দেশাত্ববোধে উদ্বুদ্ধকরণ, সহ-শিক্ষা কারিকুলাম তথা খেলাধুলা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বার্ষিকী ও দেয়ালিকা প্রকাশসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মকা-ের ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ফলাফল ভালো হচ্ছে উল্লেখ করে বলা হয়, কমিটির উদ্যোগে একটি শিক্ষানীতিমালা প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন