নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : শেষ হয়েছে চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা সংস্থার ওসি মো: মামুনুর রশিদ ম-লের জবানবন্দি। এরি মধ্য দিয়ে এই হত্যাকা-ের বিচার প্রক্রিয়ার বিরাট একটি অংশ সম্পন্ন হলো। গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সকাল সাড়ে ১০টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি নূর হোসেন, র্যাবের চাকরিচ্যুত সিইও তারেক সাঈদ, এম এম রানা, আরিফসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালত আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরার দিন ধার্য করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি অনেক দীর্ঘ ছিল। এর আগে গত ২২ ও ২৯ আগস্টের পর বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো রেকর্ড করা হলো এই জবানবন্দি। সাত খুনের ঘটনার পর আদালতে দায়ের করা চার্জশিটের আলোকে তদন্তভার পেয়ে কিভাবে তদন্ত করেছেন, কাকে কাকে কখন কোথায় থেকে গ্রেফতার, আটক, জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নেওয়া থেকে শুরু করে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ তদন্তের আদ্যোপান্ত আদালতে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করবেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ঈদুল আজহার কারণে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরার দিন ধার্য করেছে আদালত। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে। এ পর্যন্ত ১০৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন