স্টাফ রিপোর্টার : অর্থ আত্মসাতের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দুই প্রকৌশলী গ্রেফতার হবার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে রাজউক কর্মীদের বিক্ষোভে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক প্রেস বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকারের পরিপন্থী অবস্থান থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরত রাখার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার হবার পরও রাজউক কর্মীদের এ বিক্ষোভ সরকার ঘোষিত সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের প্রতি তাদের অনাস্থার পরিচয়। এ পরিস্থিতি কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। এর মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের বাস্তবে দুর্নীতির পক্ষেই অবস্থান গ্রহণ করেছেন কিনা এটা তাদেরই ভাবা উচিত। যথাযথ প্রক্রিয়ায় আইনসম্মতভাবে দুদকের দায়িত্ব পালনে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি যেন না হয় তা নিশ্চিত করা উচিত। ড. জামান আরও বলেন, দুদক বাংলাদেশে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের অন্যতম স্তম্ভ। রাজউকও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। তা সত্ত্বেও দুদকের বিরুদ্ধে সরকারেরই আরেক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের এ ধরণের বিক্ষোভ প্রকারান্তরে শুদ্ধাচার ও সততার চর্চা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে তাদের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দুদকের নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতা বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে নির্দিষ্ট রীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যেত। অনাকাক্সিক্ষত আন্দোলনের মাধ্যমে দুদককে অচল করে দেওয়ার হুমকি এক্ষেত্রে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ ধরণের অবস্থান বাস্তবে বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি অবমাননাকর।
আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়া উচিত। অভিযোগ যথার্থ কিনা তা নিরূপণের জন্য বিচারিক প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করাই উচিত। দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রেখে রাজউক কর্তৃপক্ষ ও কর্মীরা সুশাসনের পথে সহায়তা করবেন এবং দুদকও এক্ষেত্রে যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা করছে টিআইবি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন