নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রয়োজনেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। গুটিকয়েকের জন্য বন্দরের সুনাম নষ্ট বরদাশত করা হবে না। লালদিয়ার চরে বন্দরের জমি দখল করে ভাড়াটিয়া দিয়ে যারা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড করেছে সেই স্বার্থান্বেষীদের তালিকা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। বন্দরের আধুনিকায়নে অনেক প্রকল্প নিয়েছে সরকার। পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল-পিসিটির কাজ শেষ পর্যায়ে। আরও অনেক প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর কোনো বন্দরে এত গাড়ি চলে না, এত বস্তি নেই। এসব বিদেশিদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তিনি বলেন, কর্ণফুলীর পাড়ের উচ্ছেদের অগ্রগতি জানাতে আদালত বন্দর চেয়ারম্যানকে তলব করেছিলেন। এ ব্যাপারে আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে। লালদিয়ায় চরের অবৈধ স্থাপনা রাখার সুযোগ নেই। উচ্ছেদের বিপক্ষে যারা ইন্ধন দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, লালদিয়ার জায়গা বন্দরের কাজে লাগবে। একসময় সক্ষমতা না থাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় জায়গায় চলে গেছে। তাই ওই জায়গা কাউকে ইজারা বা লিজ দেয়া হবে না। গৃহহীনদের পুনর্বাসন করব। যারা সচ্ছল তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই। এখন যারা আছে তারা ভাড়াটিয়া। যারা বন্দর এলাকার জমি ব্যবহার করছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কাউকে প্রভাবশালী মনে করছি না। সরকারই প্রভাবশালী। চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকায়ন হোক চট্টগ্রামবাসীও চায়। বন্দরের আধুনিকায়ন করতে চাইলে উচ্ছেদের বিকল্প নেই। স্বার্থান্বেষীরা অর্থ আয় করছে। ভাড়াটিয়া দিয়েছে।
তাদের চিহ্নিত করেছি। বে-টার্মিনাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি পিপিপি মডেলে হচ্ছে। বন্দর ও দেশের স্বার্থ বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৫ সাল টার্গেট নির্ধারণ করা আছে। বে-টার্মিনাল হবে গ্রিন পোর্ট।
এ সময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য মো. কামরুল আমিন, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন