বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মামুনুল হক বলেছেন, রক্তের আকরে লিখেছি আল্লাহর নবীর (সা.)কটাক্ষ-কটুক্তিকারীকে এদেশে বরদাশত করা হবে না। নবীকে সা. যারা গালি দেবে, ১৪শ বছর ধরে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলো তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড। প্রত্যেক মুসলিম শাসকের দায়িত্ব আল্লাহর নবীর সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা। না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া।
তিনি বলেন, রাসুলের সা. দুশমনদের বিচার করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র যদি ব্যর্থ হয়, সেই ব্যর্থতার দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। তিনি ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন, ব্রিটিশ ভারতে রাসুলকে(সা.) কটাক্ষ-কটুক্তি করে লেখা ‘রঙ্গিলা রসুল’র লেখককে খতম করার পর এদেশের সকল কিংবদন্তীতুল্য মুসলিম আইনজীবীরা দল মত ও রাজনীতির উর্ধে ওঠে ওই রাসুল প্রেমিকের পক্ষে অবস্থান নেন।
তিনি আরও বলেন, মায়ের বা বোনের ইজ্জত লুন্ঠনের সময় ছেলে বা ভাই যদি ওই ধর্ষককে খুন করে আর আদালত যদি তাকে শাস্তি দিতে চায়, তখন আদালতকে জিজ্ঞাসা করতে মন চায়-হে আদালত, আমার মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠনের সময় তুমি কোথায় ছিলে? তুমি কেনো আমার মা বা বোনের ইজ্জতের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে?
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাইনবোর্ডের জামিয়াতু ইব্রাহীম এ অনুষ্ঠিত এক মাহফিলে এসব কথা বলেন। মাদরাসার মুহতামিম মুফতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত মাহফিলে আরও ওয়াজ করেন মইনুল ইসলাম হাটহাজারীর মুহতামিম মাওলানা শেখ আহমাদ, মীরপুর আকবর কমপ্লেক্সের মুহতামিম মুফতি দেলোয়ার হোসেন ও লালবাগ শাহী মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা ইমরান মাজহারী প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম।
মুফতি মামুনুল হক বলেন, যারা আলেম হয়ে আল্লাহর নবীর অপমানে প্রতিবাদমুখর হবেন না, তারা আলেম পরিচয় দেবেন না। কারণ, সত্যিকার কোনো আলেম ইসলামবিরোধী কোনো কাজে বসে থাকতে পারেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন