ওহির বিধান কায়েম করার আহবান জানিয়ে শেষ হলো আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ৩১তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা। এদিন জুম‘আর খুৎবায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী আক্বীদা ও সংস্কৃতি বিরোধী মূর্তি-ভাষ্কর্য নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধ করুন এবং উক্ত অর্থ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করুন। সম্পদ ও পদমর্যাদার লোভ সমাজ জীবনে অশান্তির বড় কারণ। আমাদেরকে সকল প্রকার রিয়া ও শ্রতি থেকে দূরে থেকে আল্লাহর ইবাদত করতে হবে।
তিনি বলেন, যুবসমাজ যদি ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী গড়ে না উঠে, তবে জাতি গঠনে অবদান রাখার পরিবর্তে জাতির ধ্বংস সাধনেই সে তৎপর হয়। তিনি সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতির সমালোচনা করে বলেন, এই শিক্ষানীতির ফলে একজন যুবক নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠছে না, বরং ধর্ম ও নৈতিকতাকে সে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে। সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃংখলা। তিনি অবিলম্বে দেশের সরকারকে ধর্ম ও নৈতিকতা সম্বলিত উন্নত মানুষ গড়ার শিক্ষাক্রম প্রণয়নের জন্য জোর দাবি জানান।
নওদাপাড়া ট্রাক টার্মিনালে আয়োজিত ইজতেমার শেষ দিন গতকাল শুক্রবার ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সাথে জুম্মার নামাজ আদায় করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। নামাজ শেষে তাবলীগী ইজতেমায় বক্তব্য দেন মেয়র।
এ সময় আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব, সেক্রেটারি প্রফেসর মাওলানা নূরুল ইসলাম, আহলে হাদীছ যুবসংঘের সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার দুইদিনের আয়োজিত তাবলীগী ইজতেমায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা অংশ নেন। ইজতেমায় আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও খ্যাতনামা ওলামায়ে কেমারগণ বক্তৃতা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন