রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় একটি ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে এক তরুণীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তাজমিয়া মোস্তফা মৌমিতা নামের ওই তরুণী মালয়েশিয়ার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
নিহতের ফুপা হুমায়ুন বলেন, মৌমিতা স্বপরিবারে মালয়েশিয়া থাকতো। দুই মাস আগে বাবা মো. শামীমের সঙ্গে ঢাকার ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাসায় থাকতো। তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলায়।
তিনি আরো জানান, গত শুক্রবার বিকালে বাসার ছাদে যায় মৌমিতা। তারপর বিল্ডিংয়ের পেছনে নিচ থেকে বেশ কয়েকজন তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় গ্রিন লাইফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তরুণীর স্বজনরা বলছেন, এ ঘটনার জন্য একই ভবনের পঞ্চম তলার এক ভাড়াটিয়ার ছেলেকে তারা সন্দেহ করেন। ওই ছেলেটি এর আগেও নিহত তরুণীকে ডিস্টার্ব করতো। এ ব্যাপারে ছেলেটির পরিবারকে জানানো হলো তারা এ বিষয়ে কোনও কর্ণপাত করেনি। এসব কারণেই এ ঘটনার জন্য তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
তরুণীর স্বজনরা আরো জানান, রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে এইচএসসি পাসের পর উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া যান মৌমিতা। সেখানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি। মালয়েশিয়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই থাকতেন তরুণী। করোনা মহামারির করণে পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন তিনি।
কলাবাগান থানার এসআই জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে তরুণীকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। গতকাল রাতে কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র বলেন, এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন