বগুড়া অফিস : নিহতের ৫ দিনের মাথায় বগুড়ায় ‘বন্দুক যুদ্ধে’ নিহত জেএমবির সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য ইব্রাহিম তারেক ওরফে রিপনের লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে গতকাল (শুক্রবার) রাজশাহী নিয়ে গেছে তার স্বজনরা। তবে মর্গে পড়ে আছে জেএমবি’র উত্তরাঞ্চলের সামরিক প্রধান খালিদ ওরফে বদর মামার লাশ। এখনও কেউ তার লাশ নিতে আসেনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ জঙ্গি রিপনের লাশ তার মা সালমা বেগমের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় রিপনের বোন সামিনা ফেরদৌস ও মামা খন্দকার সালেহ সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান (মিডিয়া) জানান, রিপনের মা ও তার আত্মীয়দের কাছে বিকেলে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নিহত অপর জঙ্গি উত্তরাঞ্চলের জেএমবির সামরিক প্রধান চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের খালিদ হাসান ওরফে বদর মামার লাশ নিতে তার আত্মীয়রা কেউ আসেনি।
রিপনের মা সালমা বেগম সাংবাদিকদের জানান নিহত হওয়ার তিন মাস আগে থেকেই তার ছেলে নিখোঁজ ছিল। জঙ্গিরা মগজ ধোলাই করে তার ছেলেকে সন্ত্রাসের পথে নিয়ে যায়। ছেলের কৃতকর্মের জন্য তিনি লজ্জিত এবং দুঃখিত। কেউ যাতে তার ছেলের মত ভুল পথে না যায়। তিনি বলেন ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে জঙ্গিবাদের স্থান নেই।
রিপনের মামা খন্দকার সালেহ সিদ্দিক জানান দাদির কাছে মানুষ হয়েছে রিপন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ থেকে রিপনের লাশ হস্তান্তরের পর রাজশাহীর শহরের হেতেমখাঁতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তার দাফন হওয়ার কথা। উল্লেখ, গত রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে বগুড়ার শেরপুরে বিশালপুরের নওলাপাড়ায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে খালেদ ওরফে বদর মামা ও রিপন নিহত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন