শিবচর উপজেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভার ময়নাকাটা নদীর কচুরিপানা থেকে অচেতন অবস্থায় পঙ্গু এক ভিখারীনিকে(৩৫) উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। আক্রান্ত ওই অসহায় নারী গণ ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। তাকে মেডিকেল চেক আপের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ দোষীদের আটক করতে মাঠে নেমেছে।
জানা যায়, উপজেলার কাওড়াকান্দি ও পাচ্চর থেকে ভিক্ষা বৃত্তি শেষে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাত টার দিক সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারানো ৩ সন্তানের জননী ভিখারীনি(৩৫), পৌরসভার বড় দোয়ালি নতুন ব্রিজের মোড়ে নামে। সেখানে সে একটি দোকানে চা পান শেষে রাস্তার পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে ৪/৫ জন লম্পট প্রথমে তাকে টাকার বিনিময়ে যৌনকর্মের প্রস্তাব দেয়। তাতে ওই নারী রাজী না হওয়ায় জোরপূর্বক ওই ৪/৫ জন তাকে ধরে নিয়ে পাশের মাঠে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই নারীকে পাশের সেতুর উপর রেখে যায়। এরপর আরো দুজন লম্পট তার উপর পড়লে সে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষকরা তার সাথে থাকা বেশ কিছু টাকা ও মোবাইলসেট লুটে নিয়ে তাকে নদীর কচুরীপানার উপর ফেলে দেয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কচুুরীপানার মধ্যে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে । পরে একটি ভ্যানে করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে শিবচর থানার ওসি জাকির হোসেন মোল্লা, পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের হাসপাতালে এসে ওই নারীর সাথে কথা বলেন । দুপুর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম দোষীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে। ওই নারীর বাবার বাড়ি উপজেলার উমেদপুরে ও স্বামীর বাড়ি ঢাকার সাভারে বলে সে জানায় । তার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত সে বাবার বাড়ির এলাকায় থেকে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলছিল ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন