পঞ্চগড় সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় বালুবোঝাই ট্রাক থেকে ইজারাদার সেজে দৈনন্দিন চলছে অবৈধ চাঁদা আদায়। বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরেই চলছে চাঁদাবাজির এই সিন্ডিকেট। ট্রাক প্রতি নেয়া হচ্ছে ৩০০-৬০০ টাকা। এ জেলার বিভিন্ন নদীর মোট ১৪টি বালু মহাল সরকারিভাবে ইজারা দেয়া হলেও ইজারা বহির্ভূত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা করতোয়া নদী থেকে ঝুঁকি নিয়ে বালু উত্তোলন করে, জীবিকা নির্বাহ করছে হাজারো শ্রমিক। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা এমন শঙ্কা নিয়ে খেটে খাওয়া শ্রমিকের কষ্টার্জিত এই বালুতে ভাগ বসাচ্ছেন পাথর বালি ব্যবসায়ী ও যৌথ ফেডারেশন (বাঁশকল) নামের একটি সংগঠন। জানা গেছে, জেলা সদরের ব্যারিস্টার-আমতলা এবং আমতলা থেকে তেঁতুলিয়ার ভজনপুর সড়কের যেখানেই বালুর ট্রাক লোড হোক এই চক্রটিকে দিতে হয় চাঁদা। তবে টাকাটা দিতে হয় চালকের মাধমে। অন্যথায় মারধরের ঘটনাও ঘটে।
চালককে যে রশিদ ধরিয়ে দেয়া হয় সেসবের কিছু ছবি হাতে এসেছে প্রতিবেদকের। একটিতে দেখা যায়, চাওয়াই নদী এমগড়, ইজারাদার আনারুল ইসলামথ লেখা রয়েছে। তবে এই আনারুল চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এই চক্রে ছড়িয়ে রয়েছে- খেকিপাড়া এলাকায় ডন নামের একজন ময়নাগুরিতে আব্দুর রউফ, শহিদুল ও নুর ইসলাম। দমনি সরকার পাড়া এলাকায় পয়েন্ট বসিয়ে হায়দার, এভাবেই প্রতি মাসে তাদের অবৈধ আয় পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা। তাদের এই চাঁদাবাজিতে ক্ষুব্ধ সংশ্লিষ্টরা।
পাঠানপাড়ার বালু উত্তোলনকারী শ্রমিক মানিক বলেন, আমরা এই নদীর বালু তুলে সংসার পরিচালনা করছি। অথচ এই নদীর বালু মহাল ইজারা না থাকলেও প্রতি ট্রাকে দিতে হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। একই কথা বলেন, খুটুজোত এলাকার সুফিয়ার। পাথর বালি ব্যবসায়ী ও যৌথ ফেডারেশন পঞ্চগড়ের সভাপতি, মতিয়ার রহমান বালুবোঝাই ট্রাক থেকে চাঁদার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সংগঠনের দফতর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বারবার অনুরোধ করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান বলেন, ইজারাদারেই শুধু বালু বিক্রি করতে পারবে। ইজারার নামে চাঁদা তোলার কোন সুযোগ নাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন