শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

জাতীয় সম্পদের ওপর বিদেশীদের খবরদারি বাড়ছে : জেএসডি

প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় ঐক্য না থাকার কারণে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটছে, তেল-গ্যাস-বন্দরসহ আমাদের জাতীয় সম্পদের ওপর বিদেশীদের খবরদারি বাড়ছে বলে মনে করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলÑজেএসডি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেএসডি কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভার প্রস্তাবে এ কথা বলা হয়।
জেলা পরিষদ নীতি এবং তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে ২৪ সেপ্টেম্বর সমাবেশ করবে। ১২ নভেম্বর সারা দেশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি। ১৯ নভেম্বও বাগেরহাটে জনসভার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকার জঙ্গিবাদের উৎস নির্মূল করবে না কারণ তারা এটাকে ক্ষমতায় থাকার ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। দুই জোটের ক্ষমতার কাড়াকাড়িই জাতীয় ঐক্যের পথে প্রধান বাধা। ক্ষমতার এ অনৈতিক লড়াইয়ের কারনে দুই জোটই পরাশক্তিসহ আঞ্চলিক শক্তি সমূহকে খুশি করার জন্য জাতীয় সম্পদের ওপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ বৃদ্ধি করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে কার্যকর উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য উপ আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট গড়ে তোলার উদ্যোগ জোরদার করতে হবে।
সভার প্রস্তাবে বলা হয়, সরকার গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও সুশাসনের পথ একের পর এক রুদ্ধ করে চলছে। ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে ভারত শুষ্ক মৌসুমে দেশকে শুকিয়ে মারছে আর বর্ষাকালে দেশকে ডুবিয়ে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সরকার কোন প্রতিবাদ করছে না। তিস্তাসহ ভারত থেকে প্রবাহিত নদীসমূহের পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের প্রশ্নেও সরকার তেমন উদ্যোগী নয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট ও পরিবেশ বিনষ্ট করছে। রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ উন্নয়নের নামে সুন্দরবন ধ্বংসসহ পরিবেশ বিনষ্টের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। জেএসডি এ প্রকল্প রামপাল থেকে সরিয়ে কমপক্ষে ৫০ কিলোমিটার দূরে কোথায়ও স্থাপন করার প্রস্তাব করছে এবং একই সাথে রামপাল নিয়ে গড়ে উঠা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করছে। এ ইস্যুতে জেএসডি নিজেও অবিলম্বে কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে প্রস্তাবে বলা হয়, সরকারকে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম উপজেলা কেন্দ্রিক না জেলা কেন্দ্রিক করতে চান? বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় উপজেলাই হতে হবে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। এ ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ শুধু সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতে পারে।জেলা পরিষদ সমন্বয়কারী সংস্থা হলে তা মেম্বার-চেয়ারম্যান, মেয়র-কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারে। কিন্তু জেলা পরিষদকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু করতে চাইলে এ ধরনের নির্বাচন হবে আইয়ুবী আমলের মৌলিক গণতন্ত্রের শামিল, যা এ দেশের জনগণ কোনোদিনই মেনে নেবে না।
এ ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে কার্যকর উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য উপ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গড়ে উদ্যোগ জোরদার করতে হবে।  দুই জোটের স্বার্থবাদী রাজনীতির কবল থেকে দেশকে রক্ষার জন্য তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার জন্য সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল দল ও সমাজ শক্তিসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে। জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি সাধারন সম্পাদক জনাব আবদুল মালেক রতন, এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন