মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজপথ উত্তপ্ত হওয়া শুরু হয়েছে তাই নেতাকর্মীকে আগামীতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে- বিএনপির সমাবেশে বক্তারা

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২১, ৭:১৬ পিএম

দেশব্যাপী নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন, ভোট চুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, লুটেরা, মাফিয়া, স্বৈরশাসকদের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হলে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। এই যুদ্ধে সবাইকে সামিল হতে হবে। দমন, নিপীড়ন চালিয়ে কোন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি বর্তমান ভোটার বিহীন এই সরকারও ক্ষমতার মসনদে বেশীদিন টিকে থাকতে পারবেনা। তাদের পতন আসন্ন। জনতাকে আর দাবিয়ে রাখা যাবেনা। গণতন্ত্র বারবার জীবিত হয়। আর এই গণতন্ত্র ফিরে আসবে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে। রাজপথ উত্তপ্ত হওয়া শুরু হয়েছে তাই নেতাকর্মীকে আগামীতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

বক্তারা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের নামে দেশে কী হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে একটা আনন্দঘন ও আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তার পরিবর্তে দেশে এই অনির্বাচিত সরকার গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ, মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ, ভোটের অধিকার হরণ করেছে। মানুষের এসব অধিকার ফিরিয়ে আনতে আজ আমরা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আন্দোলনের বার্তা নিয়ে এসেছি।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের মধ্যদিয়ে এদের পতন ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে। তারা ভীত হয়ে প্রত্যেকটা সমাবেশকে নানা অপকৌশল বাধাগ্রস্ত করছে। রাজশাহীর এই সমাবেশকেও বানচালের জন্য পরিবহন বন্ধ, পদে পদে বাধা আর আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে লাঠিয়ালের মত মাঠে নামিয়েছে। এদের দিয়েই সর্বত্র ভোট চুরির মহোৎসবে মেতেছে। এত বাধার পরেও রাজশাহীর সমাবেশকে বন্ধ করতে পারেনি। মানুষ যে যেভাবে পেরেছে সমাবেশে যোগ দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে স্বৈরশাসকদের কাতারে সামিল না হয়ে জনগণের কাতারে সামিল হওয়ার আহবান জানান। পাশের দেশ মিয়ামারের কথা তুলে ধরে বলেন, সেখানেও স্বৈসাশসকদের বিরুদ্ধে জনগন রাজপথে। রক্ত দিচ্ছে জীবন দিচ্ছে। আমাদেরও ওই পথ ধরতে হবে।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে বিএনপির এ সমাবেশ শুরু হয়। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপর্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়র ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আওয়াল, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু,ও হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সারোয়ার, হারুন আর রশীদ হারুন এমপি, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক এমপি এ্যাড, নাদিম মোস্তফা, নগর সম্পাদক এ্যাড, শফিকুল হক মিলন, আবু সাঈদ চাঁদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার থেকে রাজশাহীর সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য জেলাও পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তা সত্বেও রাজশাহী ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে হাজার হাজার বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ ও র‌্যাব।

নগরীর প্রবেশ পথ গুলোয় চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাসী চালানো হয়। অনেককেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তাবিথ আওয়াল অভিযোগ করে বলেন, পুঠিয়ায় তার গাড়ি বহর আটকে দেয়। একা যাবার জন্য বলে। তিনি সঙ্গিদের ছাড়া যাবেন না এ কথায় অটল থাকার পরে তাদের আসতে দেয়া হয়। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনর রশীদ অভিযোগ করে বলেন, চাপাই থেকে আসার পথে তাকেও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার আন্দোলনের ভয়ে আগে থেকেই বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে বিএনপির আন্দোলনকে বিফল করার চেষ্টা করেছে। যার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবেই একদিন আগেই যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজও পরিবহন বন্ধ। এজন্য অনেক নেতাকর্মী দূরদূরান্ত থেকে সমাবেশে আসতে পারেননি। বিনা বাধায় সমাবেশ করতে দিলে রাজশাহীর এই বিভাগীয় সমাবেশে গণজোয়ারের সৃষ্টি হতো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোঃ দুলাল মিয়া ২ মার্চ, ২০২১, ৯:৩০ পিএম says : 0
আবার কি বলে তৈরী থাকতে সবাই ঐক্যবদ্ধ পসতুত আছে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন