শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফারাক্কার সব গেইট খুলে দেয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চল বন্যা কবলিত : মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী

প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বন্যার করাল গ্রাসে নিমজ্জিত গঙ্গা অববাহিকার জেলাসমূহে বসবাসকারি মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, বর্ষাকালে ফারাক্কা বাঁধের সব গেইট খুলে দেয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চল বন্যা কবলিত হওয়ার কারণ। বর্ষায় পানি ছেড়ে দেয়ার কারণে বিপূল পরিমাণ পলিমাটি ও  আবর্জনা নদীসমূহকে ভরাট করে ফেলায় ভাটির নদীসমূহ বন্যার অতিরিক্ত পানি ধারণ করতে পারছেনা। বিধায় তা উপকূল ছাপিয়ে জনবসতিকে প্লাবিত করে। তিনি বলেন, পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রতিনিধি বর্ষাকালে বাংলাদেশকে পানি দেয়া হবে বলে যে ব্যাঙ্গুক্তি করেছিলেন, তা আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। আইওজে চেয়ারম্যান পুরানা পল্টনস্থ মাওলানা আতহার আলী (রহ.) মিলনায়তনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি আয়োজিতসভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, মুফতি আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা মমিনুল ইসলাম, পীরজাদা সৈয়দ মোঃ আহছান, ইসলামী ছাত্র সমাজের মহাসচিব নুরুজ্জামান ও শামিম ওসমান প্রমূখ। মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী আরো বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক সকল আইন, কনভেনশন ও প্রটোকল অগ্রাহ্য করে দুদেশের মধ্যে প্রবাহিত ৫৪টি অভীন্ন নদীর মধ্যে ৩৮টির উজানে ড্যাম, ব্যারেজ ও গ্রোয়েন নির্মাণ করে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে চলেছে। এসব বাঁধের মাধ্যমে অভিন্ন নদীসমূহের পানি একতরফা প্রত্যাহারের ফলে শুষ্ক মওসুমে পানির অভাবে বাংলাদেশের হাওড়, বিল, নীচু জলাভূমি শুকিয়ে যায় এবং এ কারণে কৃষি, মাছ, খাবার পানি, নৌ-চলাচল ইত্যাদি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হয়, জীব-বৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং পরিবেশ তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। আর বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়ায় বাংলাদেশের জনপদ, ফসলের জামি, বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস হয়ে প্রভূত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন