শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুলাউড়ায় স্বামী হত্যা পরিকল্পনায় স্ত্রী কারাগারে

প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুলাউড়া উপজেলা সংবাদদাতা : কুলাউড়া উপজেলা সদরে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে স্বামীও সৎ মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করেন গৃহবধু ফাতেমা বেগম (৩৫)। গতকাল শুক্রবার ওই গৃহবধু ও তার ভাই নিজাম উদ্দিন (২৮)কে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এঘটনায় কুলাউড়া শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কুলাউড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিন আহমদ (৬০) ও তার মেয়ে কুলাউড়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে হাবিবা সুচি (১৫) কে গত ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাতের খাবারের সাথে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়। পরদিন সকালে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ডাকাতির নাটক সাজানো হয়। ফরিদ উদ্দিনের ভাই আরিফ উদ্দিন বিষয়টি বুঝতে ভাই ও ভাতিজীকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার ২দিন পর ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আরিফ উদ্দিন অসুস্থ ভাই ও ভাতিজীকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখে ফিরে এসে ভাবি ফাতেমা বেগমকে সন্দেহজনক আসামি করে কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আরিফ উদ্দিন উল্লেখ করেন, ফরিদ উদ্দিনের বাসা-সহ ৬ শতক জমি স্ত্রী ফাতেমা বেগমের নামে লিখে দেয়ার জন্য ভাই ভাবির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলো, এমনকি ঝগড়াঝাটি হতো। যা আত্মীয় স্বজনসহ পাশবর্তী লোকজন জানতো। এরই জের ধরে ফাতেমা বেগম চেতনানাশক দ্রব্য খাবারের সাথে মিশিয়ে স্বামী ও সৎ মেয়ে সুচিকে হত্যা চেষ্টা চালান। সেই সুযোগে নগদ টাকা স্বর্নালংকারসহ বাসার ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ডাকাতির নামে অন্যত্র সরিয়ে নেন।
এদিকে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ২৩ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ফরিদ উদ্দিন আহমদ বাসায় ফিরে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে তালাক দেন। এর আগ পর্যন্ত ফাতেমা বেগম স্বামীর বাসায় অবস্থান করছিলেন। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফাতেমা বেগম ও তার ভাই নিজাম উদ্দিনকে আটক করে।


 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন