নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বন্দরে ১৫দিন ধরে গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন ও মাটি কেটে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে ২০টি পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে প্রভাবশালী সাহাবুদ্দিন ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। অমানবিক এ ঘটনার বর্হিঃপ্রকাশ ঘটে থানার মুসাপুর ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামে। ভুক্তভোগীরা জানায়,মুসাপুর ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী হাজী সাহাবুদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকার নিরীহ লোকজনের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে ইটভাটা নির্মাণের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। প্রায় মাসখানেক পূর্বে ইট ও বালুসহ অন্যান্যা মালামাল বিভিন্ন মালিকানা জমির উপর রেখে ইটভাটা নির্মাণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু এলাকাবাসী’র চাপে পড়ে সাহাবুদ্দিন গং ইট বালু সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। ইদানীং তাজপুর ও যুগীপাড়াসহ আশ পাশের এলাকার ভাড়াটে গু-া এনে গত ১৬ আগস্ট রাতে গ্রামবাসী’ ব্যবহৃত গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ মাটি কেটে পাহাড়ের মতো স্তুপ করে গ্রামবাসীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণ জানতে চাইলে সাহাবুদ্দিন গং গ্রামবাসীর উপর চড়াও হয়ে গালমন্দ করে। পরে সাহাবুদ্দিন গং টাকার মোটা অংকের বিনিময়ে নিরীহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে একটি ভুয়া চুরির মামলা দায়ের করে হয়রানি করে। ভুক্তভোগী গ্রামবাসী সাহাবুদ্দিন গংয়ের রাহুর গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে বিক্ষোভ মিছিলসহ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসানের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ একেএম সেলিম ওসমান ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে। ভুক্তভোগী বাড়ির মালিকরা হচ্ছেন রহমান,আমিনুল,লালচান,কবির দেলোয়ার হোসেন,মনির হেসেন, মো. ইদ্রিস আলী, নুরুল ইসলাম, হযরত আলী,মজিদ আলী, শাহীনূর বেগম মোতালিব,রুবিনা বেগম, মো. ফারুক.আমিরুল হক.জুলেখা বেগমসহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ। এ ব্যাপারে সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তার ব্যবহৃত (০১৮৭৯৪৫৫০৪৭ নম্বরের) মোবাইল ফোনে যোগযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন