লটারির মাধ্যমে স্বামী নির্বাচন করতে হয়, এমন কথা আগে কখনো শোনা যায়নি। তবে সম্প্রতি এ রকম অদ্ভুত ঘটনারই সাক্ষী থেকেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকরনগরের একটি গ্রাম। একজন নয়; দুইজন নয়, চার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে পালিয়েছিল ভারতের এক তরুণী। এরপর খোঁজাখুজির পর ধরাও পড়েন। শাস্তি হিসেবে লটারির মাধ্যমে চার প্রেমিকের মধ্যে একজনকে বিয়ে করতে হয় সেই তরুণীকে।
খবরে বলা হয়, অম্বেডকরনগরের টান্ডা থানা এলাকার এক তরুণী চলতি মাসের শুরুতে চার যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। ওই যুবকরা সবাই পার্শ্ববর্তী আজিমনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। এই চার যুবকের সঙ্গেই প্রেম করতেন তরুণী। প্রথমে নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যুবকের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন ওই তরুণী। তবে বেশিদিন পালিয়ে থাকতে পারেননি। পরে চার যুবকসহ গ্রামে ফিরতে বাধ্য হন তরুণী। বাবা-মা থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিলে গ্রামবাসীর বাধায় তা আর হয়ে ওঠেনি।
এই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েতের সভা বসে। সেখান থেকে তরুণীর পরিবারকে প্রস্তাব দেওয়া হয় চারজনের মধ্যে কোনো এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে তরুণীর। তার পরিবারও তাতে সম্মতি দেয়। কিন্তু ওই চারজনের মধ্যে কাকে বিয়ে করবেন তরুণী? এ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। কারণ ওই তরুণী ঠিক করতে পারছিলেন না কাকে বিয়ে করবেন তিনি। কারণ, চার যুবককেই পছন্দ ছিল তার।
এর মধ্যে কাকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ তাও ঠিক করতে পারছিলেন না। অপরদিকে যুবকরাও ঠিক করতে পারছিলেন না, কী করবেন। তখন পঞ্চায়েতের কর্তাব্যক্তিরা ঠিক করেন, চার যুবকের নাম লেখা কাগজ রাখা হবে একটি পাত্রে। চারটির মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া কাগজে যার নাম থাকবে তিনিই বিয়ে করবেন তরুণীকে।
সেই মতো একটি পাত্রে রাখা ছিল নাম লেখা কাগজ। গ্রামের একটি বাচ্চাকে সেখান থেকে কাগজ তুলতে বলা হয়। সেই কাগজে যে যুবকের নাম ছিল তাকেই বিয়ে করেছেন তরুণী। মেয়েটির ব্যক্তিগত বিষয়টির কথা মাথায় রেখে গ্রামবাসীরা এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন