বিরোধী দলীয় এক নেতাকে গ্রেফতারের পর সেনেগাল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। টানা তৃতীয় দিনের এই বিক্ষোভে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, সহিংসতায় এখন পর্যন্ত চার জন নিহত হয়েছে। শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফেলিক্স আবদুলায়ি দিয়োম। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গত বুধবার সেনেগালের বিরোধী দলীয় নেতা ওসমান সোনকোকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার তাকে জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও আনা হয়েছে। তিনি এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তার সমর্থকেরা বলছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফেলিক্স আবদুলায়ি দিয়োম অভিযোগ করেছেন ওসমান সোনকো সহিংসতার ডাক দিয়েছেন। পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম স্থিতিশীল দেশ সেনেগালে সহিংসতা এড়াতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের ধৈর্য্যধারণের পরামর্শ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার সোনকোর সমর্থকেরা রাজধানী ডাকারে অস্থায়ী ব্যারিকেড গড়ে তোলার চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। শহরের রাস্তায় মোটরবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এছাড়া উপশহর এলাকার একটি সুপারমার্কেটেও অভিযান চালানো হয়। তারপরও বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যায় সোনকো সমর্থকেরা। বিক্ষোভের খবর প্রচার করায় দুইটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট পর্যবেক্ষক গ্রুপ নেটব্লক জানায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মেসেজিং অ্যাপসগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন