বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত বা সাজাপ্রাপ্ত খুনি তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে যদি জিয়াউর রহমানের সস্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে কমিটি তদন্ত করছে। তদন্ত করার পর জাতির সামনে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, এই বিষয়ে বোঝার ভুল আছে। যেদিন আমরা মিটিং করি সেদিন কিছু লোকের খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। সেটা আত্মস্বীকৃত খুনিদের। আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাদের। সেখানে আলোচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর খুনির সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলো। অনেকেই অনেক উদাহরণ দিয়েছে। তিনি যে খুনি সেটা প্রমাণ করে অনেকেই অনেক তথ্যও দিয়েছে।
তিনি বলেন, এই পর্যায়ে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়, একটি কমিটি গঠন করার। ২ মাসের মধ্যে তাদের দালিলিক প্রমাণ, কবে কত তারিখে কি কি করেছে এসব তথ্য দাখিল করতে হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিটিতে আলোচনা হবে। পত্রিকায় লিখেছে এটা বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছে কমিটি করা হয়েছে। তবে আমি চেষ্টা করেছি মিডিয়ায় বিষয়টা পরিষ্কার করতে। আমরা খেতাব বাতিল করি নাই, সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে তদন্ত কমিটি করে তার রিপোর্ট প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিব। সিদ্ধান্ত হয়েছে তিনি কবে কোথায় কিভাবে খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেটা খুঁজে বের করার। এটা বের করার পর আমরা জাতির সামনে পেশ করবো। এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মদদদাতা উল্লেখ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল হলে তাদের সব রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাও বাতিল হবে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর স্কাউট ভবনে জামুকার ৭২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন