রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

খুলনায় দেড় লক্ষাধিক শিশুর কন্ঠে ধ্বনিত হলো বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২১, ৬:০৪ পিএম

এক হাজার আটশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেড় লক্ষাধিক শিশুদের একযোগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপস্থাপন (অনুকৃতি) এর মাধ্যমে খুলনায় উদযাপিত হলো ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস। জুম অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই ভাষণ উপস্থাপন করে।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল রোববার বিকেলে সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ চত্ত্বরে ছিল শিশু বঙ্গবন্ধু সমাবেশ ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উদযাপনের মূল আয়োজন। চাইল্ড ইন্টিগ্রিটি ও শিশু বঙ্গবন্ধু ফোরাম এই অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা করে।

শিশুদের একযোগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উপস্থাপনা শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার জন্য এই বাংলায় খন্ডখন্ড অনেক বিপ্লব হয়েছে। ক্ষুদিরাম, ফকির মজনুশাহ, তিতুমীর, সূর্যসেন, শরীয়তউল্লাহসহ অনেকেই রক্ত দিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। হাজার বছর ধরে স্বাধীনতার জন্য বাঙ্গালির যে আকুতি সেই স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। যে ভাষণ শুনে সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালি এক সারিতে এসে দাঁড়িয়েছিল তা এই ৭ই মার্চের ভাষণ। ৭ই মার্চের ভাষণ নতুন স্বপ্নে উজ্জীবিত করেছিল। অথচ একসময় এ ভাষণ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু ইতিহাসকে কখনও চাপা দেওয়া যায় না। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মতো আর কোন ভাষণ এত বেশিবার প্রচার হয়নি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস বিকৃতির দিন শেষ। খুলনার এই আয়োজন ৭ই মার্চ কেন্দ্রিক সবচেয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে যেমন ছড়িয়ে দেবে তেমনি তারা সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। তাদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে সোনার বাংলা।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এতে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন, পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবীর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন