স্টাফ রিপোর্টার : এবারের কোরবানি ঈদে ভারতীয় পশুর কোনও প্রয়োজন নেই। দেশীয় কোরবানিযোগ্য এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়াই বাজারের ২০-২৫ হাজার কোটি টাকার এ চাহিদা মেটাতে পারবে। এ অবস্থায় ভারতীয় ও প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে যদি পশু আমদানী এবং চোরাইপথে পশু আসা বন্ধ না হয়, তবে দেশীয় উৎপাদনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এ খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সরকারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মিট এন্ড মিল্ক প্রডিউসার্স এসোসিয়েসন-এর নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে স্বপ্ন ডেইরী এন্ড ফিশারীজ-এর উদ্যোক্তা শাহ এমরান বলেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বাংলাদেশে ২০১৫-১৬ তে এবার বহু বেকার যুবক ভাই, প্রবাসী এবং দেশের লেখাপড়া জানা অসংখ্য মানুষ নিরাপদ গোশত ও দুধ উৎপাদনের জন্য কাজ শুরু করেছে। আর এর ফলেই এবার কোরবানির ঈদে বাংলাদেশ নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার পথে প্রয়োজনীয় গোশতের উৎপাদন নিশ্চিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।
দেশের কোরবানিযোগ্য এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার মধ্যে রয়েছে গরু-মহিষ ৪৪ লাখ এবং ছাগল-ভেড়া ৭০ লাখ ৫০ হাজার। যা দেশের মোট চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
শাহ এমরান বলেন, বাংলাদেশ দুধের উৎপাদনে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও গোশত উৎপাদনে চাহিদার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। তাই এ অবস্থায় এ খাতে সরকারের সহযোগিতা না পেলে পথে বসতে হতে পারে এ খাতের উদ্যোক্তাদের।
তারা গোশত ও দুগ্ধ শিল্পের উপর এবং পশু খাদ্য আমদানীর উপর থেকে ট্যাক্স তুলে দেবারও দাবী জানান। সেই সাথে গবাদিপশুর জাত উন্নয়নে সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং চিকিৎসক বৃদ্ধি করার উপর জোর দেন।
শাহ এমরান বলেন, এগুলো করা সম্ভব হলে এ খাতে দেশে লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান স্থানীয়ভাবেই সম্ভব হবে। সেই সাথে সরকারের কর্মসসংস্থানের লক্ষ্য বাস্তবায়নেও এ খাত ভূমিকা রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন, প্রাণীসম্পদ বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন, নাহার এগ্রো গ্রæপের স্বত্বাধিকারী রাকীবুর রহমান টুটুল, সাদিক এগ্রোর মোহাম্মদ ইমরান হোসেন এবং মি: মন্টি, আহমেদ ফার্ম হাউজের আবু আহমেদ আবদুল্লাহ রাজু প্রমুখ।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত খামারী ও এ খাতের উদ্যোক্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন