রাজধানীর খিলগাঁওয়ে চুরি দেখে ফেলায় নিরাপত্তা কর্মী কাজী সালাউদ্দিন উরফে মাসুদকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সকাল ৭টায় খিদমাহ হাসপাতালের বিপরীত পাশের ফুটপাত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত পুলিশ এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
নিহতের ছেলে সাদ্দাম জানান, তার বাবা কাজী সালাউদ্দিন গত ১৫ দিন হলো সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি নিয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে খাবার খেয়ে ডিউটিতে আসে। সকাল ৯টার দিকে একজন পরিচিত লোক আমাকে ফোন করে বলে তোর বাবা অসুস্থ খিদমাহ হাসপাতালের পাশে আছে। পরে তাড়াতাড়ি এসে দেখি কারা যেন আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। লোকজন বলেছে রাতের কোন সময় বা ভোরে দুর্বৃত্তরা বাবাকে কুপিয়ে ফুটপাতের ওপর ফেলে রেখে গেছে। কয়েকজন দোকানদার মিলে আমার বাবাকে রাতে ডিউটির জন্য রেখেছিল। নিহতের গ্রামের বাড়ী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার বোয়ালিয়া গ্রামে। নিহত সালাউদ্দিন তার ছেলের সঙ্গে মেরাদিয়া নতুন কমিশনার গলিতে ভাড়া থাকতেন।
খিলগাঁও থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, খিলগাঁও চৌরাস্তার তিনটি দোকান সীমান্ত ইলেকট্রনিক্স, রেখা জুয়েলার্স ও লিজা টেলিকমে চুরি হয়। কি পরিমাণ মালামাল চুরি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে, পরে সব জানা যাবে। এখানের দোকান মালিকরা ছোট বড় দোকান হিসেবে ৩০০-৫০০ করে মাসিক হারে বেতন দিত।
খিলগাঁও থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুজিত কুমার সাহা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমরা সকাল ৭টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা জানতে পেরেছি মঙ্গলবার রাতে তিনটা দোকানে চুরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি চুরি দেখে ফেলায় তাকে হুমকি মনে করায় কুপিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনাটি রাত সাড়ে ৩টা থেকে ভোর ৬টা মধ্যে হয়ে থাকতে পারে। তার কপালে ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। কি কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন