উন্নয়ন এবং দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ এবং ফিনল্যান্ডের মধ্যে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সফর এবং কূটনৈতিক বৈঠক অনুষ্ঠান জরুরি। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে সম্পর্কের সার্বিক আলোচনার পর দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন।
দুই দেশের মধ্যে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অন্যদিকে, হেলসিঙ্কির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেকা হাবিস্তো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ২০২২ সালে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হবে। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দুই দেশের ক‚টনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সফর, বিনিয়োগ সংলাপ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় হবে। বিগত ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলসিঙ্কি সফর করেন। বৈঠকে দুই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর বিগত সফরকে স্মরণ করেন।
আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য উত্তীর্ণ হওয়ায় ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেকা হাবিস্তো বৈঠকে অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি গত ডিসেম্বরে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সংলাপ নিয়ে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। মিয়ানমারের নির্যাতিত এবং বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের মানবিক খাতিরে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেকা হাবিস্তো বলেন, মিয়ানমারের নির্যাতিত এই নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে ফিনল্যান্ড কাজ করবে। এই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ফিনল্যান্ডসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারের নির্যাতিত এই নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে গোটা বিশ্বের এগিয়ে আসা উচিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন