মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সংঘর্ষ বাড়ছেই। এতে সাধারণ জনগণ আতঙ্কে রয়েছে। রাজধানী ঢাকার সীমানা ঘেঁষা বালুচরে জমিদখল, মাটি ভরাট এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে চলছে এ সংঘর্ষ। স্বাধীনতার পর টেটা যুদ্ধের ঘটনায় মারা গেছে প্রায় ১০ জনেরও বেশি মানুষ। এ ছাড়া বাড়িঘর ভাঙচুর, জমি দখল ও অগ্নিসংযেগের ঘটনাও ঘটেছে অসংখ্য।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছরে টেটা যুদ্ধে মারা গেছে ৩ জন। টেটা উদ্ধার হয়েছে ৮ হাজারেরও বেশি এবং মামলা হয়েছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে বালুচর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ঘটে টেটার সংঘর্ষ। এ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই গড়ে উঠেছে বল্লম টেটা বাহিনী।
এ ইউনিয়নের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই চর দখল নিয়ে শুরু হয়েছিল টেটা যুদ্ধ। ইউনিয়নটি ঢাকার কেরানীগঞ্জ এবং নারায়নগঞ্জর ফতুল্লা থানা সীমানা ঘেঁষা। এখানে গড়ে উঠেছে নামে বেনামে অর্ধশতাধিক হাউজিং কোম্পানি। জমি দখল, হাউজিংয়ের মাটি ভরাট এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিনিয়তই চলছে টেটা যুদ্ধ। এ বিরোধ নিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে প্রশাসনের লোকজন স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য অনেক বৈঠক ও আলোচনায় বসেও কোনো সুরাহা হয়নি।
বালুচর ইউনিয়নের আ.লীগের সভাপতি আলেক চান মুন্সী জানান, টেটা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। সংঘর্ষে আমার বংশের প্রায় ২৮টি বসত ঘরে আগুনে পুড়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। তিনি আরো জানান, আমরা টেটা যুদ্ধ চাই না, একটা সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ওসি এসএম জালালউদ্দিন জানান, এখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ১৯৭২ সাল থেকে চলছে সংঘর্ষ। বর্তমানে এর সাথে যোগ হয়েছে বিভিন্ন হাউজিংয়ের জমি দখল, কেনা-বেচা এবং জমি ভরাট। শিগগিরই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বালুচরের বিরোধ মিটানোর চেষ্টা করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন