নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতে ৪র্থ দফায় ৫৬টি পৌরসভার সাথে ১৪ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথাছিল মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনের প্রচারনার শেষ মূহুর্তে ১১ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন স্থগিত করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এর পরে পুনরায় নির্বাচনের অপেক্ষায় থেকে দিন গুনতে থাকে নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থী ও ভোটাররা। তবে দিনের পরে সপ্তাহ আর সপ্তাহের পরে মাস পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন ঘোষণা আসছে না। ফলে দ্রুত নির্বাচনের দাবী তুলছে অংশগ্রহনকারী প্রার্থী ও ভোটাররা।
জানাগেছে, সারে ৩০বর্গ কিলোমিটার আয়াতনের কালকিনি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩হাজার ৩০৭জন। স্থগিত হওয়া কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে আসছিলেন আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী ও ২জন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। রয়েছে বিএনপি ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থীরাও। সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর পদে ১১জন ও সাধারন ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩০জন প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন। কিন্তু নির্বাচন ১৪ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠানের ঘোষণা থাকলেও ৬ফেব্রুয়ারী বিকেলে পুলিশের গাড়িতে নিখোঁজ হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ। এতে করে কালকিনি থানা ঘোরাও করে বিক্ষোভ করে সবুজ সমর্থকরা। পরে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী এস.এম হানিফের সমর্থকদের সাথে তুমুল সঘর্ষ হয় সবুজ সমর্থকদের। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয় এবং রাতেই খোঁজ মেলে সবুজের। তবে এঘটনা ব্যাপক আলোচিত হলে ১১ফেব্রুয়ারী নির্বাচন স্থগিত করে পুলিশের ভূমিকা, দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করণ ও প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের জন্য ১৮ফেব্রুয়ারী ৩সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়। তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ শেষ করে রিপোর্ট দাখিল করলেও পুনরায় নির্বাচনের এবং স্থগিত আদেশ প্রত্যাহারের কোন ঘোষণা আসেনি নির্বাচন কমিশন থেকে। এতে করে কালক্ষেপন হওয়ায় একপ্রকার হতাশ হয়ে এবং আক্ষেপ করে দ্রুত নির্বাচনের দাবী জানাচ্ছে অংশগ্রহনকারী প্রার্থী ও ভোটাররা। এব্যাপারে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী এস.এম হানিফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল রানা মিঠু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী কামাল হোসেন বেপারী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনোনিত প্রার্থী মোঃ লুৎফর রহমান মুন্সি, কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ রিফাত উল্লাহ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী রাশিদা বেগম বলেন ‘ সামনে রমজান আসছে তাই যেহেতু এখনো ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনের আমেজ রয়েছে তাই আমরা দ্রুত স্থগিত হওয়া কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনের স্থগিত আদেশ তুলে নিয়ে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানাই।’
এব্যাপারে মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন ‘ তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছে তদন্ত কমিটি। এখন এনিয়ে মিটিংয়ে বসবে নির্বাচন কমিশন। আর তখনই সিদ্ধান্ত হবে কবে কখন হবে স্থগিত হওয়া কালকিনি পৌরসভা নির্বাচন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন