করোনার সংক্রমন যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, খুলনায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতে ততো বেশি উদাসিনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনার টিকাদান শুরু হওয়ার পর উদাসিনতা যেন আরো বেড়েছে। সংক্রমনের প্রথমদিকে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বেশ নজরদারি চালালেও গত কয়েক মাস ধরে উল্লেখ করার মত কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। যদিও কাগজে কলমে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি খুলনা জেলা প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা জারি করা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনা মহানগরীর বিপনীবিতানগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাদের অধিকাংশই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। বিভিন্ন অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ‘ নো মাস্ক নো সার্ভিস’ লেখা থাকলেও সেখানেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গণপরিবহনের অবস্থা আরো খারাপ। ইজিবাইক, বাস, রিক্সা, মাহেন্দ্র’র চালক বা যাত্রী-কেউই মাস্ক ব্যবহারে সচেতন নয়। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ যেমন মাস্ক ব্যবহার করছেন না তেমনি রাজনৈতিক-সামাজিক নেতারাও মাস্ক পরছেন না। অথচ করোনা সচেতনতায় তাদের যথেষ্ট দায়বদ্ধতা রয়েছে সমাজের প্রতি।
এদিকে, খুলনায় সম্প্রতি করোনা সংক্রমনের হার বেড়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৫ হাজার ১১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১০ টি নমুনা পজেটিভ এসেছে। চলতি মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত ২ হাজার ৯০৯টি নমুনা পরীক্ষা করে পজেটিভ এসেছে ৫০টি। আগের তুলনায় গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তের হার বেড়েছে।
খুমেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদি নেওয়াজ বলেন, করোনার টিকা আসার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরণের উদাসীনতা কাজ করছে। ফলে মাস্ক পরার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে তারা। করোনার টিকা কতটা কাজ করবে তার সঠিক কোন ধারণা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এখনও দিতে পারেনি। তাই ধরে নেওয়া যাবে না টিকা গ্রহণ করলে করোনায় আক্রান্ত হবেন না কেউ। খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক পরার জন্য কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিলো। জেল-জরিমানা করা হয়েছে অনেক। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা এখন আর নেই। ফলে মাস্ক পরার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানিয়েছেন, দ্রুত খুলনায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাস্ক ব্যবহার না করলে জেল-জরিমানা করা হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন