স্টাফ রিপোর্টার : লাইনে কিংবা অনলাইনে; কোথাও বাসের টিকিট না মিললেও অতিরিক্ত টাকায় ঠিকই মিলছে উত্তরাঞ্চলের বাস কাউন্টারগুলোতে। আসাদগেট ও গাবতলীর বেশ কয়েকটি টিকিট কাউন্টার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
ঈদে ঘরমুখো মানুষদের জন্য গত ২৩ আগস্ট টিকিট বিক্রি শুরু হলেও তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই টিকিট শেষ বলে ঘোষণা করা হয়। এদিন দুপুর না গড়াতেই অনলাইনেও টিকিট শেষ দেখানো হয়। টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ঘরমুখো মানুষ ফেরত আসলেও গতকাল পর্যন্ত ঈদের টিকি বিক্রি হয়েছে আসাদগেটের নাবিল কাউন্টারে। তবে এর জন্য টিকিট প্রতি অতিরিক্ত দুইশ’ টাকা বেশি গুণতে হয়েছে যাত্রীদের।
আগের কাটা টিকিট এখন সরবরাহের কথা আসাদ গেটের নাবিল কাউন্টারের টিকিট মাস্টার রতন বললেও কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীর সুমি আক্তার নামের একজন যাত্রী এ প্রতিবেদককে জানান, আমি ফোনে যোগাযোগ করেই কাউন্টারে এসেছি। টিকিট আছে বললে আমি দ্রুত কাউন্টারে আসি। আমার কাছে দুইশ’ টাকা বেশি নিয়েছে। ৮ তারিখের টিকিটে হাহাকার থাকলেও সেদিনের টিকিট কিনতে এসেছে রংপুরের তানিম। অতিরিক্ত দুইশ’ করে টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে তার জন্য ২টি টিকিট রেখে দেয়া হয়েছে বলে জানান তানিম। তবে এবিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি আসাদগেট নাবিল কাউন্টার উত্তরাঞ্চল ম্যানেজার শাওন। নাবিল পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের ম্যানেজার সুইট রহমান বলেন, আমাদের এখানে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির সুযোগ নেই। তবে কারও কারও বিরুদ্ধে ই-টিকিট বুকড করে বিক্রির অভিযোগ আছে।
নাম প্রকাশ না করে গাবতলী কাউন্টারের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান, আসাদগেট কাউন্টার নিয়ে আমরা অনেক দিন থেকেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি। বিশেষ করে এই কাউন্টারে মামুন, রতন, আনিস, শাওন সিন্টিকেট করে টিকিট বিক্রি করে আসছে। অনলাইনে নির্ধারিত ভাড়ার থেকে ১৫০ টাকা কম হওয়ায় এই চক্রটি প্রতি দিনের ই-টিকিট আগেই সব বুকড করে রাখে। পরে তারা কাউন্টারে বসেই ই-টিকিট বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। এতে মালিকের ব্যবসায় ধ্বস নামছে। এছাড়া প্রতি ঈদে এই চক্রটি কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে টিকিটের সংকট সৃষ্টি করে। এর আগে বিষয়টি নিয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন