আলোচিত ইকবাল মোল্লা হত্যার ঘটনার ৮ মাস পার হতে না হতেই দ্বিতীয় স্ত্রী লাকী বেগমের প্রায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে চাপের মুখে স্বীকার করে, স্বামী ইকবালের বড় ভাই মঞ্জুর মোল্লার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় এ অবস্থা তার। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন চেষ্টা চালায় মঞ্জুর। তবে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন তিন সন্তানের জননী লাকী বেগম। গত বুধবার গভীর রাতে সদর উপজেলার শ্রীনদী থেকে মঞ্জুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজৈর উপজেলার উমারখালী গ্রামের সুন্দর আলী মোল্লার দুই ছেলে মঞ্জুর মোল্লা ও ইকবাল মোল্লা। মঞ্জুর তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করে এবং মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। ইকবাল তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বাড়িতে থেকে সুদের টাকা আদান-প্রদান করতো। কিন্তু ইকবাল খুন হওয়ার পর থেকে স্ত্রী-সন্তান রেখে পিতাসহ ছোট ভাইয়ের পরিবারের সাথে থাকা শুরু করে মঞ্জুর। অন্তঃসত্ত¡া হওয়ায় জনসম্মুখে প্রকাশ পায় তাদের সম্পর্কের ঘটনা। পরে ভাসুর মঞ্জুরের কাছে সন্তানদের পিতৃ পরিচয় দাবি করে নিহত ইকবালের দ্বিতীয় স্ত্রী। অস্বীকার করায় সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের শ্রীনদী গ্রামে বাবার বাড়ি ফিরে যায় এবং ধর্ষণ মামলা করে। এতে জনমনে সংশয় ভাসুর ও ভাবির এই পরকীয়ার জেরেই কি ইকবাল খুন হয়েছে? নাকি আরো গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে?
এ ব্যাপারে নিহত ইকবালের প্রথম স্ত্রী মুর্শিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী জীবিত থাকতেই তাদের অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। তারাও আমার স্বামী হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে। এ বিষয়ে আমি মামলা করবো। মামলার বাদী লাকী বেগম বলেন, আমার সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য একটা সুষ্ঠু বিচার চাই।
আসামি মঞ্জুর মোল্লা বলেন, ভাইয়ের মৃত্যুর ৩ মাস পর থেকে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে গর্ভে তার বাচ্চা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন