বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকায় সফরে আসা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের স্বাগত জানাতে ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত আনন্দ র্যালিতে মারামারির ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় সাউন্ড সিস্টেমে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকাল চারটায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আনন্দ র্যালি করার জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন কেন্দ্রীয়, ঢাবি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সাউন্ড বক্সে গান বন্ধ করে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়ান সাদ্দাম হোসাইন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের অনুসারীরা। এ ঘটনায় দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদসহ উভয়পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছেন। হাতাহাতির ঘটনার পর সাদ্দাম হোসাইন তার অনুসারীদের নিয়ে ঢাবির ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভেতরে অবস্থান নেন এবং র্যালিতে যোগ না দিয়ে শেষ মুহূর্তে রাজু ভাস্কর্যের সমাবেশে যোগ দেন। তবে জুবায়ের আহমেদ র্যালি ও সমাবেশের কোনোটিতেই যোগ দেননি। এ বিষয় জুবায়ের আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ। তাই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রোগ্রাম সফল করার জন্য ওদের (ঢাবিকে) সাহায্য করে থাকি। সেই ধারাবাহিকতায় আজও গিয়েছি। যখন সবাই শহিদ মিনারে জড়ো হচ্ছে তখন সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজতে ছিল। তাই আমি পাঁচ মিনিটের জন্য সেটি বন্ধ করতে আমার দুটি ছেলে অনুরোধ করার জন্য গেলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে পাঠিয়ে দেয়। তারপর আমি গিয়ে সাউন্ড বক্সটা বন্ধ রাখার জন্য বললে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা আমাকে হিট (আক্রমণ) করে। তখন ওরে থামাতে গেলে পেছন থেকে এসে আরেকটা ছেলে আমাকে ধরে। এতে আমার গাল কেটে যায়। আর আমাকে সেইভ করতে আসলে আমার প্রায় ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
আহত ঢাবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, জুবায়ের আহামেদ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা চালায়। তখন আমাদের আরও নেতাকর্মীরা গেলে ধস্তাধস্তি হয় এবং জুবায়ের আহমেদও এর মধ্যে পড়ে। আর আমরা যখন ফিরছিলাম তখন সাদ্দাম ভাইয়ের ওপর হামলার চেষ্টা করে তারা। ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করেছে, আমাদের সাউন্ড সিস্টেম ধ্বংস করেছে, কর্মসূচির ব্যানার পোস্টার নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে তাতে সাতজন আহত হয়েছে। আর বিষয়টি আমরা কেন্দ্রকেও জানিয়েছি যাতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন