বরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের আলীগঞ্জ লঞ্চঘাটে অভিযান চালিয়ে জাটকাসহ ১২০ মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আটক করেছে প্রশাসন। এসময় ৩ জনকে আটক করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এমভি ইয়াদ-৩ লঞ্চে অভিযান চালিয়ে ওই মাছ জব্দ করা হয়। এমভি তাসরিফ নামে একটি লঞ্চে বিপুল পরিমাণ মাছ থাকলেও রহস্যজনক কারণে সেটি ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত মাছ মাদরাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি আটক ৩ জনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, প্রায় ১২০ মণ মাছ লঞ্চে পাচার করা হচ্ছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ওই মাছ জব্দ ও ৩ জনকে আটক করা হয়। জাটকা বহনকারী অপর একটি লঞ্চ ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে ইউএনও কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আ. হালিমের নেতৃত্বে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ধুলখোলা ইউনিয়নের আলীগঞ্জ লঞ্চঘাটে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় এমভি ইয়াদ-৩ লঞ্চ থেকে ১৫ ঝুঁড়ি ও ২০ ব্যারেল জাটকাসহ নানা ধরনের মাছ জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, অপর একটি লঞ্চ এমভি তাসরিফে মাছ থাকলেও উলানিয়া এলাকায় প্রশাসন লঞ্চটিকে ছেড়ে দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন