শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মোদির সফরের বিরোধিতা নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশে সফরের বিরোধিতা করেছে একাধিক সংগঠন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোদির ঢাকা সফরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মোদিসহ আসন্ন প্রতিটি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের বাংলাদেশ সফরের সময় সরকার নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই। আমরা তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব। গতকাল শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ঢাকা সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের সফরে বাংলাদেশ-শ্রীলংকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো বেগবান ও জোরদার করেছে।

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চান, আসন্ন সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকার বাইরেও যাবেন। মোদির সফর ঘিরে একাধিক রাজনৈতিক দল যেরকম নেতিবাচক মন্তব্য করছে, তাতে মোদির সফরে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে কি না। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবারই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানই এখন বাংলাদেশ সফর করছেন। এই সফরগুলো ঘিরে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করছেন, যা তাদের (যারা বলছেন) বক্তব্য। কিন্তু সরকার নরেন্দ্র মোদিকে দাওয়াত দিয়েছে এবং আমরা গর্বিত যে তিনি আসবেন। এই সফরে সব ধরনের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব। এ ক্ষেত্রে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। আমরা যেভাবে আমাদের অনুষ্ঠানমালা চালিয়ে যাচ্ছি, সেভাবেই চালিয়ে যাব।

ড. মোমেন বলেন, শুধু তাই নয়, প্রতিটি রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সফরে আমরা নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিচ্ছি। কেননা আমরা জনগণকে নিয়ে কাজ করি। আওয়ামী লীগ সরকারের বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে আমরা বৃহত্তর জনগণের জন্য কাজ করি। দুয়েকজন লোক এমন অভিযোগ করতে পারে, লেট দেম ডু ইট। এটা নিয়ে আমাদের বড় রকমের দুঃচিন্তা নেই।

এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, পাঁচ জন রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান যে আসছেন, এটা কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে নয়। তাদের এই সফরের মূল কারণ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। যারা বিভিন্ন মতামত (নেতিবাচক) দিচ্ছেন, তাদের অনুরোধ করব, যদি বাংলাদেশকে ভালোবেসে থাকেন, যদি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হয়ে থাকেন, বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে সম্মান দিয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় অতিথিদের সম্মান জানাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে চাই, ডা. জাফরুল্লাহ কিছু কর্মকান্ড করছেন বা কিছু কথা বলছেন। বিএনপির যে বড় জোট গত নির্বাচনের আগে-পরে দেখেছি, সেই জোটের মুখপাত্র বা একটি অংশ, সেই অংশ বা বিএনপি কিন্তু প্রথমবার বিজেপি জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসার পর অন্যরকম নয়েজ তৈরির চেষ্টা করেছিল। তখন তারা বলেছিল, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সরকারের সঙ্গে ভারতের বিজেপি’র সম্পর্কে ঘাটতি থাকতে পারে। তারা আগ বাড়িয়ে বিজেপির কাছে গিয়ে অভিযোগ করার চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেন, সেসব অভিযোগ ধোপে না টেকার কারণে তারা তাদের অবস্থান পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন করেছে। একটি রাজনৈতিক দলের জন্য এটি দ্বিচারী আচরণ। জাতীয় স্বার্থে এই ধরনের আচার-আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা অনুরোধ করব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন