বরিশাল নগরীতে পর পর দ্বিতীয় দিন আবাসিক হোটেল থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটল। গতকাল নগরীর হোটেল এরিনার কক্ষ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার কক্ষে পাওয়া গেছে নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ। গত শনিবার নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে আরেক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, সদর রোডে হোটেল এরিনার কক্ষ থেকে মিরন চন্দ্র হালদার নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। হোটেল রেজিস্টারের দেয়া তথ্যানুযায়ী মিরন চন্দ্র গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই কক্ষে উঠেছিলেন। গতকাল সকালে তার কক্ষ ত্যাগ করার কথা থাকলেও বেলা ১২টার পরও সে কক্ষ থেকে বের না হওয়ায় কর্মচারীরা ডাকাডাকি করে কোন সাড়া পায়নি। দুপুরের পরে পুলিশ এসে বিকল্প চাবি দিয়ে কক্ষে ঢুকে বিছানার ওপর মিরন হালদারের লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, কক্ষের ভেতরে অনেকগুলো মরফিন ইনজেশন ও সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে। একটি ইনজেকশনের অ্যাম্পুল ভাঙা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মৃত ব্যক্তি ইনজেকশন নিয়ে নেশা করার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন অথবা অতিরিক্ত ইনজেকশন গ্রহণ করে আত্মহত্যা করেছে। লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মিরন চন্দ্র হালদার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের অরুন চন্দ্র হালদারের ছেলে। সে বাকেরগঞ্জ পৌর শহরে জাহানারা ক্লিনিক নামক একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন