মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কোটি টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা

ব্যস্ত রূপগঞ্জের চাষিরা

মো. খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

বিভিন্ন দিবসকে ঘিরে রূপগঞ্জের মাসুমাবাদ ও ভোলাবো এলাকার ফুল চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার এ দু’গ্রামের ফুল যায় সারাদেশে। প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেন চাষিরা। করোনার কারণে গত বছর বিক্রি কম হয়েছিল। চলতি বছর বিক্রি বেশি হবে বলে চাষিরা মনে করছেন। স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে ফুলে লেগেছে বাণিজ্যের ছোঁয়া। এবার প্রায় কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় চাষিরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাবো ও মাসুমাবাদ এলাকার চাষিরা গত এক যুগ ধরে ফুল চাষ করে আসছেন। ফুল চাষ করে জীবনকে বদলে নিয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলার অনেক কৃষক ও বেকার যুবক। করোনার কারণে গত বছর ফুল চাষিদের কোন বেচাকেনা হয়নি বলে জানা গেছে। এলাকাগুলোতে চাষ করা হয়েছে লাল গোলাপ, সাদা গোলাপ, রজনী গন্ধ্যা, গাঁদা, বেলি, কামিনী, সূর্যমুখী, ডায়মন্ড, গরম ফেনিয়া ও চন্দ্র মল্লিকাসহ নানা জাতের ফুল।
মাসুমাবাদ এলাকার ফুল চাষি নাঈম মিয়া জানান, করোনার কারণে গত বছর ব্যবসা হয়নি। আশা করছি এবার ব্যবসা হবে। অর্ডার ভালোই পাচ্ছি। ভোলাব এলাকার ফুল চাষি মিয়াজ উদ্দিন জানান, ‘করোনা ব্যবসা শেষ কইরা দিছে ভাই। গত বছরের আগের বছর ব্যবসা ভালোই অইছিলো। গত বছরতো ফুল বেঁচবারই পারি নাই। এইবার অর্ডার আছে খারাপ না। মোটামুটি ভালাই’। শুধু নাঈম মিয়াই নন, তার মত এই এলাকার জয়নাল, বাতেন, মিয়াজ উদ্দিন, রফিক, দিলদারসহ আরও অনেক যুবক ফুল চাষকে পেশা হিসাবে নিয়ে জীবন পাল্টে নিয়েছেন।
মাসুমাবাদ ও ভোলাবো এলাকার ফুল চাষিরা জানান, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রূপগঞ্জের ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভালোবাসা দিবস, পহেলা বৈশাখ, থার্টি ফার্স্ট নাইট, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বরসহ জাতীয় দিবসগুলো ছাড়াও জন্মবার্ষিকী, মৃত্যুবার্ষিকী, গায়ে হলুদ, গাড়ি সাজানো, বিভিন্ন ধরনের পূজা-পার্বন ও সভা-সমাবেশে এখানকার ফুল বিক্রি হয়। তবে করোনার সময় লকডাউন থাকায় কোন উৎসব পালন হয়নি। তাই ফুল বিক্রিও হয়নি। এবারও করোনার কারণে তেমন বিক্রি নেই।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান জানান, শুনেছি এখানকার ফুলের কদর রয়েছে। করোনার কারণে গত বছর চাষিদের ফুলের ব্যবসা হয়নি। তবে এ বছর আশা করা যাচ্ছে বেচাকেনা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন