স্টাফ রিপোর্টার : নদী রক্ষায় দখলমুক্ত করার খেলা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবা। তাদের মতে, ঢাকা মহানগরীর পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ দখলের মাধ্যমে নদীসমূহ ক্রমে সংকুচিত হয়ে আসছে। অধিকাংশ সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে নদীর ভিতরে এবং অনেক জায়গায় পিলারের ভিতরে ভরাট করে নদী দখল চলছে। ঢাকার চারিপার্শ্ব নদীসমূহ রক্ষায় দখলমুক্ত করার এ খেলা বন্ধ করতে হবে। গতকাল সোমবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)’র উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী, ‘দখলমুক্ত রাখার উদ্যোগ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা উক্ত দাবি জানান। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়না, ডা: লেলিন চৌধুরী, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, রাজধানী শহর এবং সংলগ্ন এলাকা চারদিকে নদী দ্বারা বেষ্টিত। বিশ্বের কোনো দেশের রাজধানী অথবা মেট্টো পলিটন শহরের প্রতি প্রকৃতির এই আশীর্বাদের দৃষ্টান্ত বিরল। জীববৈচিত্র্যের আধার, কৃষি, পরিবহন, পানীয় জলসহ নদী নির্ভর জীবন-জীবিকার উৎস হিসেবে এই নদীসমূহের ব্যবহার বহুদিন আগের ঘটনা নয়। দুঃখজনক হলো একদিকে দখল এবং অন্যদিকে দূষণের ক্রমবর্ধমান ও অব্যাহত আগ্রাসনের ফলে নদী সংকীর্ণ হয়ে ব্যবহার উপযোগিতা হারাচ্ছে। দখলের মাধ্যমে সরু হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুম ছাড়া অনেক জায়গায় নৌ পরিবহন সম্ভবপর হয়ে উঠে না। নদী দখলের ভয়াবহ চিত্র দেখা যাবে কেরানীগঞ্জের কামরাঙ্গীর চর এলাকায়। ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে নদী ভরাট করে আবাসন কোম্পানির প্লট বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে দ্রæতগতিতে। ক্রমবর্ধমান ও অব্যাহত আগ্রাসনের ফলে এটি এখন মৃত। দখল চলছে ঢাকার পূর্বাঞ্চলে। হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন