প্রভাবশালী এক আইনজীবীর দায়ের করা মামলায় সপ্তাহকাল ধরে নরসিংদী কারাগারে বন্দি জীবন যাপন করছেন দুদু মিয়া, রবি মিয়া, আব্দুর রহমান, বজলুর রহমান, আব্দুল্লাহ এবং ইসমাইল হক নামে ছয় ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মনোহরদী উপজেলার চরমান্দালিয়া গ্রামে। মামলার বাদী চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের আব্দুল মতিনের ছেলে অ্যাডভোকেট মো. শফিকুর রহমান মিলন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, শফিকুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে ওই পরিবারের উপর অত্যাচার করছে। এরই জের ধরে গত ১২ মার্চ সকালে ভুক্তভোগীদের জমির উপর ইটের প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করে। বাঁধা দিতে গেলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি মনোহরদী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। ১২ মার্চ শফিকুর রহমান বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে জমি দখল ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে নরসিংদী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাতে পুলিশ তাদেরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী ফজলুর রহমানের মেয়ে কুলসুম বলেন, আমার বাবা এবং চাচাকে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়েছে শফিকুর রহমান। এখন আবার আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট শফিকুর রহমান মিলন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি আমাদের দখলে রয়েছে। বাড়াবাড়ি করলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবো।
চরমান্দালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির বলেন, যারা জেল হাজতে রয়েছেন তারা খুবই গরীব মানুষ। তাদের এই বিরোধ মিমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষকে বসার জন্য অনুরোধ করেছিলাম।
মনোহরদী থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে ছয় আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন