স্টাফ রিপোর্টার : কোরবানির বর্জ্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিষ্কারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা পালন করে প্রমাণ করে দেব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নগর ভবনের সামনে কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাঈদ খোকন বলেন, আমি প্রতিশ্রæতি দিয়েছি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ শহরকে পরিচ্ছন্ন করব। ঈদের নামাজ পড়ে আমি রাস্তায় থাকব, আপনারা (পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা) আমার সঙ্গে থাকবেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করে প্রমাণ করে দেব আমরা যা বলি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।
মেয়র বলেন, এ শহর শুধু যদি একজন মেয়র পরিষ্কার করতে পারত তাহলে অনেক আগেই পরিষ্কার হয়ে যেত। আপনারা নিজেদের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ভাববেন না, আপনাদের মেয়রের ভ‚মিকায় দেখতে চাই। আমি যে দায়িত্ব নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করি, আপনাদের সে দায়িত্ব নিয়ে শহরকে পরিষ্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, এ শহরের মানুষের কষ্ট, রক্ত, ঘামঝরানো পয়সায় মেয়র থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পর্যন্ত বেতন হয়, জীবন চলে। আমরা যদি তাদের একটি পরিচ্ছন্ন নগরী না দিতে পারি সে ব্যর্থতা শুধু মেয়র নয়, সবার। চাকরির দায়িত্ব মেয়রের। যে কাজ না করবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কাজ করবে না তার দায়ভার নেওয়া হবে না।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিরাপত্তার হুমকি হলে সবাই সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, এর আগে দু-একটি ঘটনা ঘটেছে, আমরা হাসিমুখে সহ্য করেছি। পরিষ্কার করে বলছি, কোনো সংস্থার লোক কোনো নিরাপত্তা বা পরিচ্ছন্নতা কর্মীর গায়ে যদি হাত দেয়, নিরাপত্তা বিঘিœত করে, তাৎক্ষণিকভাবে সব কর্মকাÐ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সভায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বিল্লাল, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক এম কে বখতিয়ার, ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় প্রায় তিন হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী অংশ নেন। মেয়র তাদের অসুবিধার কথা শোনেন ও সমাধানের আশ্বাস দেন।
এছাড়া গতকাল পুরান ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানের পাশে একটি দ্বিতল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মরহুম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের নামে এ অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৮ কোটি টাকা। এর পুরো ব্যয়ই বহন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
মসজিদটি নির্মিত হলে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এতে থাকবে ৩২টি গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, একটি লিফট ও ৪২ জনের একসঙ্গে ওজু করার জায়গা। মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০১৮ সালের মধ্যে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক এবং প্রধান প্রকৌশলীসহ সংস্থার অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন