আবদুল কাদের মির্জার ফাঁসির দাবিতে পোস্টারিং করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেয়াল, দোকানপাটে এ পোস্টার ছেঁয়ে গেছে। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক মুজাক্কির এবং আলা উদ্দিন হত্যার নির্দেশদাতা খুনি মিজার ফাঁসি চাই, প্রচারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। স্থানীয়দের অভিমত এ পোস্টারিংকে কেন্দ্র নতুন করে সহিংসতা সৃষ্টি হবে। এবার কাদের মির্জার পক্ষ থেকেও পোস্টারিং করা হবে। এতে পরিস্থিতি আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।
জেলা আওয়ামী লীগ থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে কোন ধরনের বক্তব্য দেয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও সেটি মানছেনা আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলক গ্রুপ। তারা একে অপরকে আক্রমণ করে ফেসবুকে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। গত দেড় মাসে দু’পক্ষের সংঘাতে ২ জন নিহত ও শতাধিক ব্যাক্তি আহত হওয়ার ঘটনায় ৪০ জন গ্রেফতার ও বেশ কয়েকটি মামলা হলেও নেতাদের মধ্যে কেউ কাউকে ছাড় দেয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছেন । দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে একে অপরকে আক্রমন করে যাচ্ছেন। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা দিয়েছেন। দিচ্ছেন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি। অবশ্য প্রশাসন কোন পক্ষককেই এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দিচ্ছে না। সর্বশেষ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয়। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রশাসন উভয় পক্ষের কর্মসূচি স্থগিত করেন। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের এ সিদ্ধান্তকে ভালভাবে দেখছেন না।
বসুরহাট বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে জানাযায়, জেলা আওয়ামী লীগকে বিষয়টি তদন্ত করে কেন্দ্রে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিলেও সেটির কোন ধরণের কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। দল থেকে কার্যত কারো বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ফলে সমস্যার সমাধান না হয়ে জটিল আকার ধারণ করেছে। তারা জানান, সংঘাত, সহিংসতার কারণে বসুরহাট বাজারে সাধারণ মানুষ কেনাকাটা করতে না এসে আশপাশের বাজারে যাচ্ছে। ফলে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন