নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর, শিমরাইল ও সাইনবোর্ড এলাকায় সকাল থেকে মহাসড়ক অবরোধ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা সকল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থকরা। এসময় হেফাজতে ইসলামীর কর্মীরা মহাসড়কে যানবাহন বন্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে, কাঠের গুড়ি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সকাল থেকেই ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে কোনো যানচলাচল করতে দেখা যায়নি। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে হেফাজত কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল চালিয়ে যাচ্ছে।
সকাল ৭টার পর হরতাল সমর্থনে হেফাজত ইসলামের কর্মীরা আশপাশ এলাকা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানী নগর, শিমরাইল মোড় এলাকায় জড়ো হয়। এসময় হরতাল সমর্থনকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিক্ষোভকারীদের পুলিশ, র্যাব সদস্যরা ঘিরে রেখেছে। মহাসড়কের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। সকাল ১০টায় হরতাল চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ার শেল ও শট গানের গুলি ছুঁড়েছে। আবদুর রাজ্জাক নামে একজন প্রতক্ষ্যদর্শী জানান, সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর, মৌচাক এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা জড়ো লাঠিসোঠা নিয়ে জড়ো হয়।
পুলিশের উপস্থিতিতে তারা শিমরাইল ইউটার্ন এলাকায় নিয়ে অবস্থান নেন। অবরোধকারীরা সড়কে টায়ার, বাঁশ, কাঠ, চৌকি, বেঞ্চসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তারা মহাসড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হেফাজতের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই শিমড়াইল মোড়, মৌচাক ও সাইনেবোর্ড এলাকায় অবস্থান নেয়। হরতালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তিনি বলেন, মহাসড়ক এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন