ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে চার হেফাজত কর্মী নিহত এবং অর্ধ শতাধিক আহত ও ব্যাপক ভাঙচুর অবরোধের ঘটনায় হাটহাজারী জুড়ে এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত শুক্রবার পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে দেয়াল তুলে দিয়ে অবরোধ দেয় হেফাজত কর্মীরা। রোববার রাত ১০টায় দেয়াল তুলে নিলে টানা ৫৫ ঘণ্টা পর সচল হয় গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যানবাহন চলাচল।
এদিকে হাটহাজারীতে বিক্ষোভকারীদের হামলায় লন্ডভন্ড সহকারী কমিশনার ভ‚মি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় এবং সদর ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস। সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীনের নেতৃত্বে ভাঙচুর করা এসব সরকারি অফিস পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা জানান, হামলায় এসিল্যান্ডের ব্যবহৃত একটি সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের পর এসিল্যান্ড কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে অফিস ও অফিসের বাইরের সিসি ক্যামরা, কয়েকটি আলমিরার জরুরী কাগজপত্র তছনছ করাসহ ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। একই সাথে এসিল্যান্ড কার্যালয় লাগোয়া সদর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে যাবতীয় আসবাবপত্র, আলমিরা, ডেস্ক, ফ্যান, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি, সিসি ক্যামরাসহ ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বিভিন্ন মৌজার জরুরী দলিলপত্র বাইরে ছ্ুঁড়ে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন