সেনবাগ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নানান ধরনের পেটের পীড়াসহ ব্যাপক হারে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার রোগী। এদের মধ্যে ডারিয়ায় আক্রান্ত ছিল ২৭০ জন। যাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই শিশু। এছড়াও প্রতি মাসে গড়ে ৩০-৩৫ জন নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি হয় বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
হাসপাতালের একজন মেডিকেল অফিসার জানান, প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ রোগী। কয়েকজন পল্লী চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে ইদানিং পেটের পীড়া নিয়ে অনেকেই তাদের কাছে আসেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে। রোগীর অবস্থা খারাপ মনে হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ইনকিলাবকে জানান, ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতার অভাবকেই এ সকল রোগের জন্য মূলত দায়ী বললেন তিনি। তাছাড়া বর্তমান আবহাওয়াও রোগ জীবানু ছড়ানোর অনুক‚লে। আপাতত হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও ওষুধ সঙ্কট নেই বলেও জানালেন।
সরকারি হাসপাতালটিতে নার্স সঙ্কট দীর্ঘদিনের। মাত্র ৭ জন নার্স রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে ২৪ ঘণ্টা। ২৫ টি পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন, এদের মধ্যে ১ জন ডেপুটেশনে ও ১ জন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। সিনিয়র স্টাফ নার্স তছমিনা সুলতানা জানান’ ২৫ জনের বিপরিতে মাত্র ৭ জন নার্স নিয়ে বিপুল সংখ্যক রোগীর সেবা দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে এ সঙ্কটের সমাধান প্রয়োজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন