রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সহকর্মীর গুলিতে জেএসএস এমএন লারমা দলের সশস্ত্র কমান্ডার বিশ্ব চাকমা ওরফে যুদ্ধ নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার সময় বাঘাইছড়ির বাবুপাড়া এলাকায় সশস্ত্র অবস্থায় দায়িত্ব পালনের সময় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডের পর সহকর্মী সুজন চাকমা অত্যাধুনিক একটি এমফোর রাইফেল ও একটি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে পালিয়ে গেছে। বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশ্ব চাকমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জেএসএস এমএন লারমা দলের বাঘাইছড়ি উপজেলার সভাপতি জ্ঞানজ্যোতি চাকমা জানিয়েছেন, সন্তু লামার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার সময় বাঘাইছড়ির বাবুপাড়া এলাকায় সশস্ত্র অবস্থায় দায়িত্ব পালনের সময় সামরিক কমান্ডার বিশ্ব চাকমা ওরফে যুদ্ধ চাকমাকে কাছে থেকেই দায়িত্বপালনরত সুজন চাকমা গুলি করে হত্যা করে। শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এসে বিশ্ব চাকমার গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পাই। তার সাথে দায়িত্বে থাকা সুজন চাকমা এসময় পালিয়ে যায়।
দলীয় সূত্র জানায়, সংস্কারপন্থী জেএসএস এর দলীয় দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নিহত যুদ্ধ চাকমা বিগত চার বছর আগে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস থেকে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে এসে সংস্কারপন্থী জেএসএস এমএন লারমা দলে যোগদান করে। পরবর্তীতে তাকে সংগঠনটির বাবু পাড়া এলাকার সামরিক কমান্ডারের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রতিদিন রাতে তার নেতৃত্বেই এলাকায় সামরিক টহল দিতো একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী।
তারই ধারাবাহিকতায় ডিউটিতে থাকাকালীন সময়ে তার সাথে থাকা ছদ্মবেশি সহকর্মী সুজন চাকমা গভীর রাত আড়াইটার সময় গুলি করে যুদ্ধ চাকমাকে হত্যা করে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, একটি একে-৪৭ ও একটি এম ফোর অস্ত্রনিয়ে সুজন চাকমা জেএসএস মূল দলে যোগদানের উদ্দেশ্যে যুদ্ধকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
এই ঘটনার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং ভোরের দিকে বাঘাইছড়ির থানার পুলিশ সদস্যরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ও উৎকন্ঠাময় পরিবেশ বিরাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন