দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়ছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে দেশে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা ৬টি থেকে বেড়ে ৩১টি হয়ে গেছে। জেলাগুলো হলো, মৌলভীবাজার, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নরসিংদী, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, বরিশাল, রাজশাহী, বগুড়া, নড়াইল, নীলফামারী, গাজীপুর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মাদারীপুর, নওগাঁ, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, নাটোর, টাঙ্গাইল ও কক্সবাজার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সূত্র জানায়, সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের জেলাগুলোকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে যেসব স্থানে সংক্রমণের হার টানা দুই সপ্তাহ ১০ থেকে ২০ শতাংশ বা তার উপরে, সেগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। যেসব স্থানে সংক্রমণ হার ৫ থেকে ১০ শতাংশ সেসব স্থানকে মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও যে সব স্থানে শূণ্য থেকে পাঁচ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ হার আছে সেসব এলাকাকে নিম্ম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে হন্নে হয়ে ছুটছে করোনা রোগীরা করোনার জন্য নির্ধারিত রাজধানীর নয়টি সরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এখন রোগীদের ‘ঠাঁই নাই’ অবস্থা। মুগদা করোনা ডেডিকেটেড জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. অশিন কুমার নাথ বলেন, মার্চ মাসের শুরুতে ৬০ জন রোগী ভর্তি থাকলেও বৃহস্পতিবার ২৯৯ জন করোনা রোগী ভর্তি আছে। ইতিপূর্বে এই হাসপাতালে আইসিইউ’তে বেড ছিলো ১৪টি। বর্তমানে ১৯টি করা হলেও আইসিইউতে শয্যা রোগীদের দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে কুর্মিটোল, কুয়েত মৈত্রী, বিএসএমএমইউসহ মুগদা হাসপাতালের আইসিইউ ফাঁকা নেই। যতোই দিন যাচ্ছে হাসপাতালগুলোতে শয্যা এবং আইসিইউর সংকট প্রকট হচ্ছে। তালিকাভুক্ত অন্যতম সরকারি ডেডিকেটেড চারটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা আইসিইউ কোথাও ফাকা নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন