মো. আবদুল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী অপহরণ হয়েছে এবং সদর উপজেলা থেকে এক শিক্ষক নিখোঁজ রয়েছেন। অপহৃত ব্যবসায়ী উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের করুণা চৌধুরী বাড়ি প্রকাশ মান্দার বাড়ির ফয়েজ আহমদের ছেলে। সে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বক্সিরহাট বাজারে ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসা করে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অপহৃত ব্যবসায়ীর ভাগনে আশরাফুল বাহার এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এর আগে গত বুধবার বক্সিরহাট বাজার থেকে ফেনী যাওয়ার পথে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা। তিনি আরো জানান, অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধোরে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।
অপহৃত ব্যবসায়ী ভাগনে আশরাফুল জানান, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার তার মামা বাড়ি থেকে বাহির হয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। তিনি দোকান থেকে ফেনী যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। গত বৃহস্পতিবার সকালে মামির ফোনে কল আসে। কিন্তু হ্যালো বলার সাথে সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। অপহরণের পর থেকে আবদুল্লা তার ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। তবে ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের কোন কারণ তার পরিবার জানাতে পারেনি।
অপরদিকে, জেলার সদর উপজেলার উদয়সাধুরহাট বাজারের চরমটুয়া প্রি কাডেট স্কুলের শিক্ষক ও ফার্মেসী ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম, নিখোঁজ থাকার অভিযোগে থানায় জিডি করেন স্ত্রী ফাতেমা বেগম। সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, তার স্বামী গত রোববার দুপুরে ফার্মেসী থেকে স্কুলের বইয়ের জন্য জেলা শহর মাইজদী যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। সে উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের চর কাউনিয়া গ্রামের নজির মাঝি বাড়ির নজির আহমদের ছেলে। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দিন জানান, ওই শিক্ষক ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। তার স্ত্রী তথ্য গোপন করে সদর থানায় জিডি করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন