মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে শাশুড়ি, দুই ননদ ও ননদের জামাইয়ের হাতে রিয়া মনি নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছে। খুনের ঘটনায় নিহতের পিতার মামলায় শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হয়নি পুলিশ। তবে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত বুধবার রাতে টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ওই রাতেই নিহত গৃহবধূর পিতা বাদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নিহত গৃহবধূ আব্দুল্লাহপুর গ্রামের সউদী প্রবাসী সবুজের স্ত্রী। তাদের ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। নিহত রিয়া মনির বাবা আতাউর পাইক জানান, আমার মেয়েকে তার শাশুড়ি প্রায়ই নির্যাতন করতো। শাশুড়ি, দুই ননদ এবং ননদের জামাইরা মিলে আমার মেয়েকে খুন করেছে।
রিয়ার চাচাতে ভাই হৃদয় জানান, ওই এলাকার চেয়ারম্যান আমাদের ফোন দিয়ে বলেছে রিয়া ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু গিয়ে দেখি খাটের ওপর শুইয়ে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, ৩ বছর আগে উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আতাউর পাইকের মেয়ে রিয়া মনির সঙ্গে একই উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের সবুজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সবুজ সউদী আরব থাকেন। সবুজের মা হোসনে আরা প্রায়ই রিয়ার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করত।
এ ব্যাপারে স্থানীয় আবদুল্লাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ. রহিম বলেন, শুনেছি শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। পরে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি হারুন আর রশিদ বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন