বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে নাজিরপুরে ইউএনও’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:১০ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

নাজিরপুর উপজেলা সংবাদদাতা : পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তবিবুর রহমানের (সদ্যবিদায়ী) বিরুদ্ধে প্রায় ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধভাবে প্রভাবশালীদের নামে লিজ দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংখ্যালঘু ও এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। ওই ইউএনও’র বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করাসহ সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত মূল কাগজপত্র গায়েব করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও তারা কোন প্রতিকার পায়নি।  গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় নাজিরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন উপজেলার রামভদ্রা গ্রামের মৃত অমূল্য রতন চ্যাটার্জীর ছেলে বাসুদেব চ্যাটার্জী ও একই গ্রামের মৃত হাজী সেরাজ উদ্দিন শেখের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শেখ।
লিখিত বক্তব্যে বাসুদেব চ্যাটার্জী বলেন, উপজেলার ৫৬নং রামভদ্রা মৌজা এবং ৫৭নং নৈলতলা মৌজার প্রায় ৫০ একর সম্পত্তির রেকর্ডীয় মালিক তার পূর্ব পুরুষগণ। যুগযুগ ধরে ওই সম্পত্তি তারা ভোগদখল করে আসছেন। ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে ওই সম্পত্তি ভিপি তালিকাভুক্ত হলে ভিপি অবমুক্ত করার জন্য তারা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। ইউএনও তবিবুর রহমান নাজিরপুরে যোগদান করার পর উপজেলায় এসিল্যান্ড না থাকায় তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ওই সম্পত্তি অবৈধভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতাসহ তাদের আত্মীয়দের নামে ডিসিআর দেয়ার পাঁয়তারা শুরু করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে ভুক্তভোগীরা ওই ভিপি সম্পত্তির পূর্ববর্তী মালিক ও দখিলকার হওয়ায় ডিসিআর পাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু ইউএনও ডিসিআর দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রতিকার না পেয়ে ভিপি অবমুক্ত ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন। ট্রাইবুনাল সরকারের বিরুদ্ধে শোকজ করেন। ওই শোকজ আদেশ প্রাপ্ত হয়ে ইউএনও ট্রাইবুনালের শোকজের জবাব না দিয়ে বিভিন্ন তারিখে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাসহ ৬২ জনের নামে একসনা ডিসিআর প্রদান করেন।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে সদ্যবিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তবিবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে। তারা চাইলে সে সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। মুক্তিযোদ্ধার মূল কাগজপত্র গায়েবের বিষয়ে তিনি বলেন, ভূমি অফিসের সুব্রতকে ১৫ দিনের মধ্যে কাগজপত্র ফেরত দেয়ার জন্য লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন