ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস : ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চরাঞ্চল আলাদিয়ার আলগী গ্রামে জয়নাল আবেদীন ওরফে জয়নাল মুন্সীর সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে নির্যাতিতরা থানায় প্রায় হাফ ডজন মামলা করেও সুফল না পাওয়ায় দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠছেন তিনি। ফলে তার ভয়ে এলাকার মানুষ এখন মুখ খুলতে সাহস পায় না। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় নাখোশ নির্যাতিতরা।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত ৭ জুন তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী মো: সুলতান আহম্মেদকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে জয়নাল মুন্সী। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় সুলতানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগে প্রভাব খাটিয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয় এ সন্ত্রাসী।
ভুক্তভোগীর ছেলে আতিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ঈশ^রগঞ্জ থানায় ১২ জুন মামলা করলেও জয়নাল মুন্সী টাকা দিয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে নিয়েছে। ফলে ওই মামলায় এখনো অভিযোগ গঠন হয়নি।
ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, পূর্বশত্রুতায় ২০১৪ সালের ১৮ জুন বাড়ি-ঘরে হামলা করে স্থানীয় আ: লতিফকে মারধর করে জয়নাল ও তার সন্ত্রাসীরা। পরে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলে আবারও লতিফের উপর হামলা করল জয়নাল। এ সব ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় দুটি মামলা করলে জয়নালের প্রাণনাশের হুমকির ভয়ে প্রায় ৩ মাস বাড়ি ছাড়া থাকে লতিফ। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ৩ মাস পর বাড়ি ফিরে লতিফ।
স্থানীয়রা জানায়, চরআলগী গ্রামের রাবেয়া খাতুনের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে থানায় জয়নাল মুন্সীর নামে মামলা রয়েছে। এছাড়াও আলাদিয়ার আলগী গ্রামের কান্দাপাড়ার নাজিম উদ্দিনের স্ত্রীকে প্রকাশ্যে নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কিছুদিন জেলখাটে সে। পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নাজিম উদ্দিনকে সপরিবারে বাড়ি ছাড়া করে জয়নাল ও তার সন্ত্রাসীরা।
উচাখিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হক মঞ্জু জানান, জয়নাল মুন্সী বিএনপি-জামায়াতের লোক। তবে বর্তমানে সে আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে আসা-যাওয়া করে।
মূলত সে ধূর্ত প্রকৃতির লোক। মানুষকে হয়রানি করাই তার কাজ। তার বিরুদ্ধে থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বিগত ইউপি নির্বাচনে সে আমার বাড়িতে হামলা করেছিল। ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে একাধিকবার জয়নাল মুন্সীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি। এ বিষয়ে ঈশ^রগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, পূর্বে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন